ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূকে খুনের ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ১৫ জুলাই জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুরে পেশায় জরির কারবারি আসমত আলি মিদ্যার বাড়িতে চড়াও হয় এক দল ডাকাত। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর স্ত্রী এসমাতারা বেগমকে (২৭) চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তারা। চপারের কোপে গুরুতর জখম হন আসমতও। লক্ষাধিক টাকা এবং বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এসমাতারা ছিলেন বড়গাছিয়া ২ পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সদস্য। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেন।
মঙ্গলবার রাতে আন্দুল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে শেখ সুলতান নামে বাড়ি সাঁকরাইলের আড়গোড়ি গ্রামের বাসিন্দা এক দুষ্কৃতীকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, সুলতানই আসমত আলি মিদ্যার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল পাণ্ডা। তার শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। নিজের শ্যালক এবং ওই এলাকার কয়েক জন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে সে ডাকাত দল তৈরি করেছিল। এর আগেও তারা কয়েকটি ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাইকেলে করে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করত সুলতান। ফেরিওয়ালা সেজে এসে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে আলাপও জমাতো। সেই সূত্রেই জেনে নিত বাড়ির খুঁটিনাটি। পরে দলবল নিয়ে সেই বাড়িতে ডাকাতি করত। আসমত আলির বাড়িতেও সে একই ভাবে ‘ছক’ কষে ডাকাতি করেছিল বলে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানিয়েছে, আসমতের বাড়ি থেকে লুঠ করা গয়না বিক্রি করার জন্য আন্দুলে একটি সোনার দোকানে এসেছিল সুলতান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আন্দুল বাসস্ট্যান্ড থেকে সুলতানকে ধরে। তাকে জেরা করে বুধবার আন্দুলের একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুলতানের সাগরেদ বাপি মিদ্যা নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে। ওই ডাকাত দলের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |