ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণের জন্য ফের চাপ বাড়াচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। এ বার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটির কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে তারা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
ডিজেল, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার এবং কেরোসিন রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর এই তিন জ্বালানির দাম এত দিন নির্ধারণ করত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার আগে প্রণববাবু সেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নতুন করে ওই মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়নি এখনও। সেই কারণেই এ বার ডিজেলের দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব ওই কমিটির কাছে নিয়ে যাচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
তবে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা সরিয়ে এই মুহূর্তে ওই প্রস্তাব কার্যকর করা আদৌ কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যথেষ্ট। মন্ত্রকেরই এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, “আগামী ৭ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তার পর সংসদের বাদল অধিবেশনেও এই প্রস্তাব কতটা রাজনৈতিক সমর্থন পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে যথেষ্ট।” তবে তাঁর মতে, বহু ব্র্যান্ডের পণ্যের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়ার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হল জ্বালানি ক্ষেত্রে বিপুল ভর্তুকির অঙ্ক যতখানি সম্ভব কমিয়ে আনা। চলতি অর্থবর্ষে পেট্রোল বাদে ডিজেল, কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাসে সিলিন্ডার পিছু প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি গুণতে হবে কেন্দ্রকে। |