নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
রাত পোহালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর। শুক্রবার দুপুর থেকে টানা নানান অনুষ্ঠান। কোথাও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে জেলার বিভিন্ন সমস্যা ও সরকারের নানা কর্মসূচীর হাল হকিকত খতিয়ে দেখা। কোথাও আবার আটকে থাকা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা। সম্ভাবনা আছে বোলপুর স্টেশন লাগোয়া রেলের মিউজিয়মের উদ্বোধনেরও। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ বোলপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন। ডাকবাংলো মাঠে পাট্টা বিলি, বৃত্তি প্রদান-সহ নানা সরকারি কর্মসূচী রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।”
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের নানা নানা জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী সফল ও বাস্তব রূপায়ণের খোঁজ-খবর নেওয়া-সহ কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলির রূপায়ণ নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করতে পারেন বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। অন্য দিকে, শিল্পের জন্য অধিগৃহীত শিবপুর মৌজার জমির অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আছেন জমি মালিক, কৃষক, খেত মজুরেরা। |
বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে চলছে প্রস্তুতি। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
সম্প্রতি শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই জমিতে শিল্প গড়ার কথা বললেও জট এখনও কাটেনি। ক্ষতিপূরণ, জমির ন্যায্য দাম, কর্মসংস্থান-সহ একাধিক বিষয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী সফরে এসে শিবপুর মৌজা-সহ জেলায় অন্যান্য শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কী পরিকল্পনা, তা জানার অপেক্ষাতেই জেলার বাসিন্দারা।
এ দিকে মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকছে। সাদা পোশাকে প্রচুর পুরুষ ও মহিলাকর্মীও মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থাকবেন ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরাও।” মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সবরকমের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই ‘নানুর দিবস’-এ নিরাপত্তাজনিত কারণে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। প্রসঙ্গত, সূচপুর গণহত্যার প্রতিবাদে তৃণমূলের আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত বছরগুলিতে বেশ কয়েকবার উপস্থিত ছিলেন। |