প্রথমে কাজ পাঁচ রাস্তায়, সড়কে লগ্নি নিয়ে সমীক্ষায় রাইটস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ টানা যাবে কি না, সেই ব্যাপারে সমীক্ষায় নামছে রাজ্য সরকার। প্রথম ধাপে পাঁচটি রাজ্য সড়কের ক্ষেত্রে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হল রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক সার্ভিসেস বা রাইটস-কে। বেসরকারি লগ্নি টানার প্রাক্-সম্ভাব্যতা নিয়ে ওই সমীক্ষা প্রথমে যে-পাঁচটি রাজ্য সড়কে শুরু হবে, কলকাতা-বাসন্তী সড়ক তার মধ্যে অন্যতম। বাকি চারটি রাস্তা হল দু’নম্বর রাজ্য সড়ক (হুগলি-বাঁকুড়া-খাতরা-বিষ্ণুপুর-আরামবাগ হয়ে তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটী)। চার নম্বর রাজ্য সড়ক (মেচগ্রাম-ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-গোয়ালতোড়-রাইপুর-খাতরা হয়ে মানবাজার-বাঘমুণ্ডি-ঝালদা)। পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়ক (রূপনারায়ণপুর-পুরুলিয়া-মানবাজার-বান্দোয়ান হয়ে বাঁশপাহাড়ি-শিলদা-খড়্গপুর-কেশিয়াড়ি-কাঁথি-জুনপুট) এবং ১২এ রাজ্য সড়ক (চ্যাংরাবান্ধা-মাথাভাঙা-কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার হয়ে রাজাভাতখাওয়া-হাসিমারা)। পূর্ত দফতরের সাবেক চৌহদ্দির বাইরে গিয়ে রাজ্য সড়কগুলির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ জোরদার করতে নতুন সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগম তৈরি হয়েছে। প্রাক্-সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেখা হবে, কোন রাস্তা দিয়ে কত যানবাহন চলে, রাস্তার কোন কোন অংশে টোল বসানো লাভজনক হবে, কোথায় কোথায় মোটেল এবং টোল প্লাজা গড়ে তোলা যায় প্রভৃতি। নিগমের চেয়ারম্যান সুব্রত বক্সী মঙ্গলবার মহাকরণে বলেন, চূড়ান্ত সমীক্ষার ভিত্তিতে ঠিক হবে, কোন পদ্ধতিতে কোন রাজ্য সড়কের উন্নতি সম্ভব। তা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি), বিল্ড-অপারেট-ট্রান্সফার (বিওটি) বা যৌথ উদ্যোগের মধ্যে যে-কোনও উপায় হতে পারে।
|
গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্ব-সহায়ক দলকে জোড়ার পরিকল্পনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় গণবণ্টন ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত কাউন্টার চালু করে তার দায়িত্ব স্ব-সহায়ক দলের হাতে তুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জয়া দাশগুপ্তের সঙ্গে জঙ্গলমহলের তিন জেলার জেলাশাসকদের ভিডিও-সম্মেলনে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে রেশনের খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে বিভিন্ন সময়ে নানা পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছিল। এক সময়ে ভ্রাম্যমাণ রেশন-ব্যবস্থা চালুরও উদ্যোগ হয়। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে একটি রেশন-দোকানকে ভেঙে দ্বিতীয় কাউন্টার খোলায় উদ্যোগী হয় সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুরে গড়বেতা-২, শালবনি, গোপীবল্লভপুর-১ এবং বিনপুর-১ ও ২ ব্লকে এ রকম ১২টি অতিরিক্ত কাউন্টার চলছেও। এ বার জামবনি, গোপীবল্লভপুর, শালবনি ও গড়বেতা ২—এই চারটি ব্লকে আরও ১০টি নতুন অতিরিক্ত কাউন্টার খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকাতেও এ রকম কাউন্টার খোলার জন্য উদ্যোগ চলছে। সেই কাউন্টারের জন্য স্থায়ী বাড়ি তৈরি করে, কাউন্টারগুলি স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে চালানোর প্রস্তাব উঠেছে। তবে, অতিরিক্ত কাউন্টার স্ব-সহায়ক দলের মাধ্যমে চালানোর ব্যাপারে জেলাশাসকেরা আইনগত জটিলতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এত দিন রেশন-ডিলারেরাই অতিরিক্ত কাউন্টারেরও দায়িত্ব সামলাতেন।
|
গ্রামীণ বিদ্যুতের ভার চেয়ে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের দায়িত্ব রাজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব রাজ্যেই গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি পশ্চিমবঙ্গে এই কাজে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতেই রাজ্যের হাতে প্রকল্পের ভার দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। |