গুরু-শ্রদ্ধায় মিষ্টি বিলি |
প্রণব মুখোপাধ্যায়কে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গুরু বলে শ্রদ্ধা করেন প্রদেশ কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজিত অগ্রবাল। রবিবার শিলিগুড়ির সেবক রোডের ২ মাইল এলাকার বাসিন্দা অজিতবাবু তাঁর বাড়ির লাগোয়া জায়গায় মণ্ডপ করে রাষ্ট্রপতি প্রণববাবুকে অভিনন্দন এবং শ্রদ্ধা জানাতে ঘটা করে মিষ্টিমুখ করানোর আয়োজন করেন। ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ বসিয়ে গত চার দশকে প্রণববাবুর বিভিন্ন রাজনৈতিক জীবনের টুকরো ছবিও দেখান হয়। যুব কংগ্রেসের সদস্যরা বাইক র্যালি নিয়ে এসে আবির মেখে হুল্লোড় করেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল সাধারণ বাসিন্দাদেরও। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা কংগ্রেস নেত্রী গঙ্গোত্রী দত্ত, পুরসভার চেয়ারম্যান নান্টু পাল, জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা থেকে জেলা তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিক, কুন্তল গোস্বামী, বিকাশ সরকাররা অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে যিনি রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে রয়েছেন শিলিগুড়ির সেই কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নন্দী। প্রশান্তবাবুর মতো অনেকেই প্রণববাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে মিশেছেন। অনেকে ততটা নয়। সকলেই তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হওয়ায় গর্ব প্রকাশ করেন। অজিতবাবু এ দিন জানান, প্রশান্তবাবুই তাঁকে ১৯৭৯ সালে প্রণববাবুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এর পর প্রণববাবুর কথাতেই দলের সদস্য হন। ১৯৮৪ সালে প্রণববাবু শিলিগুড়ি সফরে এলে অজিতবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে দুপুরে খাওয়া থেকে মেলামেশা ফেলে আসা সেই সব স্মৃতি তুলে ধরেন। অজিতবাবুর ছেলে অমিত মারা যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতিতে শিলিগুড়ি শহরে যে ভবন তৈরি করা হয়েছে তা উদ্বোধন করে গিয়েছেন প্রণববাবু। গঙ্গোত্রী দেবী জানান, মেয়র হওয়ার পর প্রণববাবুই ছিলেন তাঁর অভিভাবকের মতো।
|
রাজস্থানের জয়পুরের এক ব্যবসায়ীর গদি থেকে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা চুরি করে এক যুবক মালদহ পালিয়ে এসেছিল। চুরির পরে শেষ রক্ষা হল না। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত শনিবার রাতে রাজস্থানের পুলিশ। জেলা পুলিশের সাহায্য নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের মোল্লাবাড়ি গ্রাম থেকে মিরাজুল ইসলাম নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার জেলা মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির করানোর পরে রাজস্থান পুলিশ ধৃত ব্যক্তিকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছে। রাজস্থানের জয়পুরের নর্থ থানার ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্রা জানান, মিরাজুর এক বছর ধরে রাজস্থানের স্টিলের বাসনপত্রের ব্যবসায়ীর গদিতে কাজ করত। ৩০ জুন ওই ব্যবসায়ীর গদি থেকে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা খোয়া যায়। বিপুল টাকা খোয়া যাওয়ার পর দিন ব্যবসায়ী জয়পুর নর্থ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “রাজস্থানের জয়পুর থানার পুলিশ আসামী ধরতে আমাদের সাহায্য চেয়েছিল।”
|
বাঁধ ভাঙার তদন্ত হোক, চায় বামেরা |
মহানন্দার বাঁধ ভাঙা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাল বামফ্রন্ট। রবিবার শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে মুখ্যসচিব সমর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্য সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “চরম অবহেলার পরিণতি হচ্ছে ওই ঘটনা। বাঁধের অবস্থা ভাল নয় জেনেও তা সংস্কার হয়নি। এর ফলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। মুখ্যসচিবের কাছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অশোকবাবু শিলিগুড়ি কমিশনারেট নিয়েও বামফ্রন্টের বক্তব্য জানান। তিনি জানান, মহকুমার তিনটি থানা ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি কমিশনারেটের বাইরে রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেগুলি দার্জিলিং জেলা পুলিশের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। তিনি বলেন, “কমিশনারেটের বাইরে ওই তিনিট থানা রাখা ঠিক নয়। সেগুলি কমিশনারেটে অন্তর্ভূক্তি হলে সাধারণ মানুষের পক্ষে ভাল হবে। প্রশাসনের কাজেও সুবিধে হবে।” এ ছাড়া ভক্তিনগর থানা এলাকা কমিশনারেটে অন্তর্ভূক্তির সিদ্ধান্তে স্বাগত জানান তিনি। পাশাপাশি শিলিগুড়িতে আরও দুটি থানার দাবি করেন তিনি। ফুলবাড়ি ও ডাবগ্রাম নিয়েও আলাদা থানার দাবি করেন তারা। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, আগামী ২৬ জুলাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে শিলিগুড়িতে আইন অমান্য করবেন তারা।
|
রাস্তার ধারে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা নিমগাছ কাটা হল পুরসভার উদ্যোগে। রবিবার শিলিগুড়ির হাসমিচক মোড় লাগোয়া পূর্ত দফতরের বাংলোর পাঁচিল ঘেঁষে থেকে ওই গাছের ডালপালা কেটে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, হাসমিচক থেকে উড়ালপুলে ওঠার মুখে রাস্তা ধারে পূর্ত দফতরের পাঁচিল ঘেঁষে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল বড় নিমগাছটি। প্রবল বৃষ্টিতে গাছের গোড়ার মাটি আলগা হয়ে সেটি লাগোয়া একটি গুমটি দোকানের উপর হেলে পড়েছিল। যে কোনও সময় রাস্তার উপর পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে দেখে ওই রাস্তায় যান শনিবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা অনুরোধ করায় এ দিন পুরসভার উদ্যোগে দোকানের উপর থেকে ওই গাছটির ডালপালা কেটে দেওয়া হয়েছে। |