এক মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। আদরি মুর্মু ওরফে দীপা নামে মাওবাদীদের ওই ‘ডেপুটি এরিয়া-কমান্ডার’কে রবিবার দুপুরে ওড়িশার সীমানা লাগোয়া গোপীবল্লভপুর থানার কেন্দুগাড়ির ফুলাকেন্দু গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ। এ দিকে, ধৃত মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দামকে নিয়ে অযোধ্যা পাহাড়ে তল্লাশি চালিয়ে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
|
আদরি মুর্মু |
আদরির বাড়ি বিনপুরের তেঁতুলডাঙা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম থানায় সংবাদমাধ্যমের সামনে আদরিকে হাজির করেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার। জানান, এ দিন দুপুরে পুলিশের একটি দল ফুলাকেন্দু গ্রামে আচমকা অভিযান চালিয়ে আদরিকে ধরে ফেলে। লালগড় আন্দোলন পর্বে শশধর মাহাতোর স্কোয়াডে যোগ দেন আদরি। পরে নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুরের মাওবাদী এরিয়া কমান্ডার রঞ্জন মুণ্ডার স্কোয়াডে ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পান। নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুরে মাওবাদীদের মহিলা শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয় আদরিকে। বছর তেইশের আদরি জানান, মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজিকে তিনি দেখেছিলেন। অস্ত্র চালানোর পাশাপাশি, বেশ কিছু হামলা-নাশকতার ঘটনায় যোগও দিয়েছিলেন বলে জানান আদরি। রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন ও হামলা-নাশকতার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত আদরিকে আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে।
গত ১৬ জুলাই ধৃত মাওবাদীদের রাজ্য কমিটির নেতা বিক্রমকে নিয়ে শনি-রবি দু’দিন ধরে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গ্রাম কলাবেড়া, উসুলডুংরি-সহ আরও কিছু দুর্গম জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, একটি ফ্ল্যাশগান, বাইনোকুলার, কিছু ডিটোনেটর ও মাওবাদীদের প্রচার পুস্তিকা পাওয়া গিয়েছে। তবে বিক্রমের ব্যবহার করা ল্যাপটপ ও ৯ এমএম পিস্তলটির খোঁজ মেলেনি। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এন সুধীর কুমার এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। মাওবাদীদের নামাঙ্কিত একটি প্রেস বিবৃতিতে পুরুলিয়া থেকে বিক্রমকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ১৫ জুলাই গড়িয়া স্টেশন থেকে সিআইডি বিক্রমকে পাকড়াও করে। পুলিশ অবশ্য এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। |
বৃষ্টির জলে সিগন্যাল বিগড়ে বিপর্যস্ত ট্রেন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৃষ্টি হচ্ছিল না তো হচ্ছিলই না। যখন হল, সেই বৃষ্টির জল জমে সিগন্যালই গেল খারাপ হয়ে। ওই সিগন্যাল-বিভ্রাটের কারণে রবিবার শিয়ালদহ মেন লাইনে সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে মেরামতির পরে ট্রেন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির জলে ব্যারাকপুরের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা গোলমাল শুরু করে। লাইনের পয়েন্টগুলি ঠিকমতো কাজ না-করায় আটকে পড়ে ট্রেন। রেলকর্তারা জানান, পয়েন্ট আটকে যাওয়ায় সিগন্যালও দেওয়া যাচ্ছিল না। কর্মীরা গিয়ে মেরামতি শুরু করেন। সেই সময় পুরনো পদ্ধতিতে পয়েন্টের কাজ চালানো হয়। কিন্তু একটি পয়েন্ট এমন ভাবে আটকে পড়ে যে, একটি ব্যারাকপুর লোকাল ট্রেন স্টেশনের মুখে দাঁড়িয়ে যায়। সেটিকে কোনও ভাবেই সরানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ওই সময় ব্যারাকপুরের চারটি লাইনের বদলে তিনটি লাইন গিয়ে ট্রেন চালাতে হয়। তাতে বেশ কয়েক জোড়া লোকাল ট্রেন গড়ে প্রায় ১৫ মিনিট করে দেরিতে চলাচল করে।
রবিবার হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী-সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। তাই তেমন অসুবিধা হয়নি। তবে টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর স্টেশনের আগে পরপর তিনটি রেলগেটে দীর্ঘ ক্ষণ যানবাহন আটকে ছিল। |