লটারির মাধ্যমে স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার দায়িত্ব বন্টন করা হল। আর প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের জেরে শনিবার থেকে ফের হুড়া ব্লকের আমড়াকোচা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল শুরু হল। প্রসঙ্গত মিড-ডে মিল রান্না করা নিয়ে গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদে ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই স্কুলে রান্না পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ফের মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত আদিবাসী প্রধান এলাকার এই স্কুলের খুদে পড়ুয়ারাও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে দুই মহিলা মিড-ডে মিল রান্না করে আসছিলেন। গত বছর মার্চ মাসে দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ওই স্কুলে রান্না করার জন্য আবেদন জানায়। এর জেরে গোলমাল শুরু হওয়ায় ওই স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, বিডিও বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও মীমাংসা করতে পারেননি। ১৩ জুলাই ওই গ্রামে গিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও হন বিডিও। শেষে বুধবার মহকুমাশাসক (সদর) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত ওই গ্রামে গিয়ে বৈঠক করে রফা সূত্র খুঁজে বের করেন। মহকুমাশাসক বলেন, “লটারির মাধ্যমে তিনটি গোষ্ঠীকেই এক মাস করে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে আগামী বছরের এপ্রিল মাস পযর্ন্ত রান্নার কাজ করবেন। দুই আধিকারিক মাঝেমধ্যে হঠাৎ স্কুলে পরিদর্শন করবেন। তাঁরা রান্নার মান, পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টি ইত্যাদি বিচার করে ও পড়ুয়াদের মতামত নিয়ে প্রতিটি গোষ্ঠীকে নম্বর দেবেন। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই এপ্রিলের পর থেকে চূড়ান্ত ভাবে রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হবে।” বিডিও বলেন, “জট কাটিয়ে শনিবার থেকে ওই স্কুলে রান্না শুরু হয়েছে।” পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ মাহাতো বলেন, “ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে ফের দুপুরে ভরপেট খাবার পাচ্ছে। এতেই আমারা খুশি।” |