জয়চণ্ডী পাহাড়ে সবুজ ফিরিয়ে দেওয়ায় উদ্যোগী হল প্রশাসন। প্রায় ন্যাড়া হয়ে যাওয়া এই পাহাড় সবুজে মুড়ে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সম্প্রতি রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক, কিছু আধিকারিক ও জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব কমিটি আলোচনায় বসেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাহাড় লাগোয়া খাস জমিতে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা হবে। রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “জয়চণ্ডী পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা সবুজায়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। এই বর্ষার মধ্যেই আমরা সেই কাজ শুরু করতে চাই।”
জয়চণ্ডী পাহাড়কে ঘিরে পর্যটনের প্রসারে শুরু হয়েছিল পর্যটন উৎসব। তারপর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও পর্যটন কেন্দ্র গড়ার কাজ অবশ্য বেশি দূর এগোয়নি। যুব আবাস নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করা হলেও আবাস নির্মান কার্যত বিশ বাঁও জলে। ইতিপূর্বে পাহাড় এলাকায় কিছু গাছ লাগিয়ে বনসৃজন করা হলেও সেই গাছ নির্বিচারে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে কার্যত ন্যাড়া হয়ে গিয়েছে জয়চণ্ডী পাহাড়।
উৎসব কমিটির সম্পাদক সুকুমার মণ্ডল বলেন, “বনসৃজনের গাছ নির্বিচারে কেটে নেওয়ার ফলে এই পাহাড়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়েছে। তাই পাহাড়কে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য নতুন করে বনসৃজনের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়চণ্ডী পাহাড় লাগোয়া প্রায় ৩০০ একর খাস জমি রয়েছে। এখানে রঘুনাথপুর পুরসভা, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের আড়রা এবং শাঁকা পঞ্চায়েতের জমি রয়েছে। কিন্তু সেই খাস জমিতে অবৈধ দখলদারি শুরু হয়েছে। বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, আগে খাস জমি চিহ্নিতকরণ করা হবে। তারপর সেখানে গাছ লাগানো হবে।
মহকুমাশাসক জানান, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জয়চণ্ডী পাহাড়ে গাছ লাগানো হবে। জেলাশাসকের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে খাস জমির সীমানা বরাবর পরিখা কাটা হবে। ইতিমধ্যেই খাস জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে ভূমি দফতর। উৎসব কমিটি জানিয়েছে, আগে বনসৃজন হলেও নজরদারির অভাবে গাছ কাটা গিয়েছে। এ বার উৎসব কমিটিই গাছ রক্ষায় নজরদারি চালাবে। |