টুকরো খবর
নাগরি প্রশ্নে শিবুকে বিঁধলেন মরান্ডি
নাগরির জমি-জট খুলতে রাজ্য সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ প্রকাশ করছে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা প্রজাতান্ত্রিক (জেভিএম)। ঝাড়খণ্ডে বর্তমান জোট সরকারের শরিক জেএমএম এ ব্যাপারে ‘দ্বিচারিতা’ করছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির দল জেভিএমের। গত ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নাগরির ‘জমিন বাঁচাও’ আন্দোলনকারীদের মহাসম্মেলনে আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন জেএমএম-প্রধান শিবু সোরেন। ওই দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিবু নাগরির অধিগৃহীত জমি কৃষকদের পুনদর্খলের দাবিকে সমর্থন জানান। নাগরির অধিগৃহীত জমিতে লাঙল দিয়ে চাষ-আবাদ শুরু করার পরামর্শও শিবু দিয়েছিলেন উচ্ছেদ হওয়া কৃষকদের। জেএমএম-প্রধানের ওই ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে বাবুলাল মরান্ডি বলেন, “শিবু সোরেন তো রাজ্য সরকারের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান। তিনি তো ইচ্ছা করলেই নাগরির জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। তা করছেন না কেন? জমি ফেরতের ব্যবস্থা না-করে তিনি নাগরির ‘জমিন বাঁচাও’ আন্দোলনের পাশে থাকার কথা বলছেন। নাগরির অধিগৃহীত জমিতে চাষ শুরুর পরামর্শ দিচ্ছেন। এ তো অদ্ভুত কাণ্ড! ”সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার নির্দেশে দ্রুত নাগরির জমি বিতর্কের সমাধান সূত্র খোঁজার সার্বিক প্রয়াস চলছে। জমি জট খোলার দিশা মেলার আশায় ক’দিনের মধ্যেই ফের নাগরির জমিন বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য সরকার গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি। পাশাপাশি, জমি বিতর্কের মীমাংসা সূত্র বার করতে আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে।

মণিপুরে জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা কনভয়ের
মণিপুরে আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটালো জঙ্গিরা। তবে সময়ের সামান্য হেরফেরে জওয়ানরা অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন। পুলিশ জানায়, কাল বিকেলে মণিপুরের পাটসই এলাকায় সালাং সাবাল লেইকাই এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে। ২৮ নম্বর আসাম রাইফেলসের একটি কনভয় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল। আওয়াং খুনৌ এলাকায় গোকুলচাঁদ হাইস্কুল পার হতেই বিস্ফোরণের মুখে পড়ে কনভয়টি। শিখ রেজিমেন্ট, সিআরপিএফ ও আসাম রাইফেলসের নিয়মিত টহলদারি চলে এই রাস্তায়। ভিআইপিদের আনাগোনাও লেগে থাকে। এমন উচ্চ সতর্কতা বলয়ের মধ্যেও রাস্তা খুঁড়ে বিস্ফোরক কী ভাবে রাখল জঙ্গিরা তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ১৮ শিখ রেজিমেন্টের কনভয় এলাকা পেরনোর পরে, আসাম রাইফেলসের একটি ট্রাক ও একটি জিপসি স্কুল পার হতেই রিমোট কন্ট্রোলে বোমাটি ফাটানো হয়। মাটিতে ৪ ফুট লম্বা, ৩ ফুট চওড়া গর্ত হয়ে যায়। তবে, কনভয়ের কোনও গাড়ির ক্ষতি হয়নি।

উৎপাদনে আর চুক্তি-শ্রমিক নয় মারুতিতে
হঠাৎ কেন মানেসরে মারুতির কারখানায় সংস্থার কর্তাদের উপরে নৃশংস হামলা চালালেন শ্রমিকরা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন মরিয়া মারুতি সুজুকি কর্তৃপক্ষ। কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি তাঁরা। তবে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে স্থায়ী ও চুক্তি শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য ও এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কথা উঠে আসছে। শ্রমিক অশান্তির ঘটনায় আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মারুতি সুজুকি শ্রমিক সংগঠনের নেতা যোগেশ কুমার। ব্যয় কমাতে অন্য অনেক সংস্থার মতোই চুক্তির ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগের পথে হেঁটেছে মারুতি। মানেসরের কারখানার প্রায় ৪০ শতাংশ শ্রমিক চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের বেতন স্থায়ী শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেকের কাছাকাছি। এই কারণেও অসন্তোষ বেড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মারুতি জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে উৎপাদনে চুক্তি-শ্রমিক নিয়োগ করা হবে না। আগে চুক্তি-শ্রমিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হত কোনও ঠিকাদারকে। এ বার সেই দায়িত্ব নেবে সংস্থার মানব সম্পদ দফতরই।

তিনটি দেহ উদ্ধার
বিহারে পূর্ব চম্পারণ জেলার জৈলাহা কুটিয়াতলা গ্রামের একটি বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল তরুণী এক গৃহবধূর দেহ। সঙ্গীতা ভগত (২৮) নামে ওই বধূর দেহের পাশেই পড়ে ছিল তাঁর দুই সন্তান গোলু (১০) ও ছোটুর (৩) দেহও। পুলিশের ধারণা বিষক্রিয়াতেই তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে।

চোরকে পিটিয়ে খুন
চুরি করে পালানোর সময় বমাল গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে গেল চোর। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলল সেই ব্যক্তিকে। বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় দিকুলি গ্রামে কাল গভীর রাতে ঘটেছে এই ঘটনা। জেলা পুলিশ সুত্রে আজ জানানো হয়, নিহতের নাম বালিয়া পাসোয়ান।

জমি-অধিগ্রহণ নিয়ে সংঘর্ষ
জমি-অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হরিয়ানার আসলওয়াস গ্রামে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে বেশ কয়েকটি সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আসলওয়াসে শিল্প তালুক গড়ার জন্য ৩ হাজার একরেরও বেশি জমি অধিগ্রহণ করতে উদ্যোগী হয়েছে হরিয়ানা সরকার।

রাঁচিতে যুবক খুন
রাঁচি শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃ্দ্ধ পিতাকে দেখতে এসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক যুবক। জনবহুল স্টেশন রোড সংলগ্ন ওই হাসপাতালের মূল ফটকের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম উমাশঙ্কর সিংহ (৩৭)। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার মুহূর্তেই বছর কুড়ির জনা পাঁচেক যুবক উমাশঙ্করকে ঘিরে ধরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব কাছ থেকে ওই যুবককে অন্তত পাঁচটি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় আততায়ীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় উমাশঙ্করের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উমাশঙ্করের বাবা সুরেশ সিংহ রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত এক জন পুলিশকর্মী। রাঁচির পুলিশ সুপার (শহর) ভি শুক্ল জানান, খুন সহ-একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল নিহত যুবকের বিরুদ্ধে। ক’মাস আগে সে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। পুরনো ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই এই খুন বলে অনুমান পুলিশের। আততায়ীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.