জলস্তর কমল ফুলহারে। শুক্রবার সকালেই বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে ফুলহারের জলস্তর। ফলে এ দিন সকালেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় ফুলহার নদী থেকে লাল সঙ্কেত সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকা থেকেও হলুদ সঙ্কেত সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কমেছে ভাঙনের প্রকোপও। ফুলহারের জলস্তর কমতে শুরু করায় স্বস্তিতে সেচ দফতর ও প্রশাসন। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, এ দিন ফুলহারের উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২৭.৪০ মিটারে। যা অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমা ও সংরক্ষিত এলাকায় হলুদসীমা থেকে ৩ সেমি কম। তবে অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও হলুদ সঙ্কেত সীমার উপর দিয়েই বইছে ফুলহার। |
মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “ফুলহারের জল কমছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রাখছি।” পাশাপাশি শুক্রবার দুপুর থেকে আবহাওয়ারও কিছুটা উন্নতি হওয়ায় রতুয়ায় ভাঙন রোধের কাজে গতি আসবে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে পথঘাট এখনও জলে ডুবে থাকায় জলবন্দি হয়েই রয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬টি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসনের কাছে নৌকা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসি প্রধান তাপস শুকুল বলেন, “জল কমলেও আতঙ্ক কমেনি। ফুলহার বাঁধের যা অবস্থা তাতে ফের জল বাড়লে বাঁধ বাঁচানো কঠিন।” হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী সিপিএমের দলনেতা সুধীর যাদব বলেন, “মিহাহাটেও বাঁধের নিচে ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেচ দফতরের ভাঙন রোধে করা কাজ কাজে আসেনি। ফের জল বাড়লে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।” |