পুরাতন মালদহ পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান ও তাঁরই দলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট করার অভিযোগে পুরাতন মালদহ পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুল ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর অতুল সরকারের কাছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর কারণ জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুকুর ভরাট বন্ধ না হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্র নাথ হালদারের নেতৃত্বে কংগ্রেসকর্মীরা মঙ্গলবাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। জাতীয় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভের জেরে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে দুরপাল্লার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পুরাতন মালদহ ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। পুরাতন মালদহের কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, “২০০৬ সালে পুরাতন মালদহ পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্বনিযুক্তি প্রকল্পে সরকারি খাস জমিতে ৪ বিঘার একটি পুকুর সংস্কার করেছিল। বেশ কিছুদিন ধরে পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর সেই পুকুর ভরাট শুরু করেছেন। জেলা প্রশাসন ও জেলা ভূমি ভূমি রাজস্ব দফতরের উদাসীনতার প্রতিবাদে অবরোধে নামতে বাধ্য হই।” মালদহের জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক খগেন্দ্র নাথ ডিউ বলেন,“ পুরাতন মালদহ পুরসভা চেয়ারম্যান ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে পুকুর ভরাট অভিযোগ পাওয়ার রিপোর্ট নিয়েছি। ওই পুকুর ভরাট সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু অবৈধভাবে পুকুরে মাটি ভরাট করা হচ্ছিল সেই কারণে পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হবে।” পুরাতন মালদহ পুরসভার সিপিএম চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, “১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পুকুরটি পুরসভাই সংস্কার করেছিল। ওই পুকুরটি কংগ্রেসের কিছু লোক ভরাট করছিল। জঞ্জাল দিয়ে ওই পুকুর বোজানোর জন্য আশেপাশে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। এলাকার ৫০০ বাসিন্দা লিখিতভাবে আমাকে জানিয়েছিল, আমাদের এই গরিব এলাকায় কোনও পার্ক নেই। একটা পার্ক করে দেওয়া হোক। সেই কারণে এলাকার বাসিন্দারের দাবিতে সেখানে একটি পার্ক গড়তে উদ্যোগী হয়েছিলাম। আমি বা অতুলবাবু কেন পুকুর ভরাট করতে যাব? ” |