আত্রেয়ী নদীর ভাঙনে বিপন্ন বালুরঘাটের বোয়ালদার এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাংশ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নদীর জল বাড়তেই বোয়ালদারের কালিকাপুর থেকে ফুলঘরা, পার্বতীপুর, খাসপুর, মদনগঞ্জ এলাকার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। জলঘর অঞ্চলের গঙ্গাসাগর, চককাশি, চকহরিনা, ভাতশালা গ্রাম গুলির একাংশ চাষের জমি নদী ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। সেচ দফতরের হিসাবে, ওই দুটি অঞ্চলে প্রায় ১৩০০ মিটার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুনীল ঠাকুর বলেন, “বোয়ালদারের কালিকাপুরের দিকে ৫০০ মিটার এবং জলঘরের দিকে গঙ্গাসাগর এলাকায় ৮০০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। দুটি এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে সাড়ে ৩ কোটি টাকার পরিকল্পনা গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ণ তহবিলে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |
বাসিন্দাদের বক্তব্য, জুলাইয়ের শুরুতে জেলায় কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পর বর্তমানে জোর বৃষ্টি হয়নি। নইলে সমস্ত বালির বস্তা ধসে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে। কালিকাপুর এলাকার কৃষক মানিক চৌধুরী, সুকুমার চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর আত্রেয়ীর ভাঙনে চাষের জমি হারাচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় ৪০ বিঘা চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে। স্থায়ী বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা না হলে বিপদ বাড়বে।”
ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বিমল চৌধুরী, বগনি চৌধুরী, শঙ্কর চৌধুরীদের মত শতাধিক কৃষকের জমি। সব্জি চাষের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা ওই জমিতে ধান ও পাট চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গঙ্গাসাগর এলাকার সব্জি চাষিরা জানান, ধীরে ধীরে আত্রেয়ী ভেঙে নিচ্ছে চাষের জমি। আর কতদিন বাকি জমি বাঁচবে কে জানে। এলাকার চাষি বিজয় বর্মন বলেন, “চার বিঘা জমি ছিল। গত দু’বছরের মধ্যে নদী ভাঙনে প্রায় দু’বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে। এলাকার চাষিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।” |