গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর ভোট প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে মেটে তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, ৪ অগস্ট জিটিএ গঠন ও তার পরবর্তী পর্যায়ে প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়েও পাহাড়ের সরকারি আধিকারিকদের পরামর্শ দেবেন রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন।
দার্জিলিঙের পথে শিলিগুড়িতে এ দিন মুখ্য সচিব বলেন, “জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং গঠনের পরে জিটিএ যাতে ভাল ভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে। সে জন্যই দার্জিলিং যাচ্ছি।” আজ, শনিবার দার্জিলিঙে ওই প্রশাসনিক বৈঠক হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জিএনএলএফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ‘দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ’ (ডিজিএইচসি)-এর মাধ্যমে পাহাড়ে স্থানীয় উন্নয়নের প্রক্রিয়া প্রায় থমকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ডিজিএইচসি প্রায় অকেজো থাকায় স্থানীয় উন্নয়নকল্পে জমে থাকা কাজের পরিমাণ খুব কম নয়। সেই কাজগুলি একের পরে এক মেটানো এবং নতুন প্রশাসনের নতুন দায়িত্ব পালনে যাতে ‘ঢিলেমি’ না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরির বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।
সরকারি সূত্রেই জানা গিয়েছে, অতীতে নানা কাজের ক্ষেত্রে জেলাশাসকের সঙ্গে ডিজিএইচসি-র মতান্তর মেটাতে মহাকরণকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। জিটিএ গঠনের পরে দার্জিলিঙের জেলাশাসককেই জিটিএ-র প্রধান সচিব করা হলে, সেই সমস্যা মিটবে কি না, সেই প্রশ্নেও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
জিটিএ-র ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ-সহ দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। মোর্চা নেতারাও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ-কর্তাদের পাহাড়ে স্বাগত জানিয়েছেন। নির্বাচনী বিধি-নিষেধ থাকায় সরকারি ভাবে মন্তব্য না করলেও মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জিটিএ গঠনের পরে দ্রুত উন্নয়নের কাজে ‘ঝাঁপিয়ে পড়া’র প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই দল তাঁদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছে।
মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভিযোগে জিটিএ ভোট থেকে প্রার্থী-প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিপিএম। এ ব্যাপারে কী বলবেন? মুখ্যসচিবের জবাব, “পাহাড়ে সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট-পর্ব শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।” |