|
|
|
|
বিষমদ-কাণ্ড |
আবগারি কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সংগ্রামপুরের বিষমদ-কাণ্ডে রাজ্যের আবগারি দফতরের এক শ্রেণির কর্মী ও অফিসারের যোগসাজশ ছিল বলে মনে করছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। ওই ঘটনায় রাজ্য আবগারি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই তদন্ত শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি-কে।
চোলাই মদের রমরমা ঠেকাতে নানান ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ওঠে। আবগারি দফতরের নাকের ডগায় কী ভাবে চোলাই ব্যবসা চলে, ওঠে সেই প্রশ্নও। এত দিনে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও ওই ঘটনায় আবগারি দফতরের কিছু কর্মী-অফিসারের যোগসাজশ আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করল। কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ডাকা হয়েছিল আবগারি কমিশনারকেও। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আবগারি দফতরের যোগসাজশ ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটা সম্ভব কি? কমিশনারের জবাব ছিল, ‘না, সম্ভব নয়’।” অশোকবাবু জানান, এ বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য এসেছে কমিশনের হাতে। সংগ্রামপুরের ঘটনায় আবগারি দফতরের এক ওসি-কে সাসপেন্ড করা হলেও মাত্র তিন মাসের মধ্যে তাঁকে আবার বহাল করা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মতে, কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের যুগ্মসচিব সুজয় হালদার বলেন, “বিষমদে একসঙ্গে ১৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিরল। আবগারি বিভাগ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্বই দেয়নি। তাই আবগারি কমিশনারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|