সুটিয়ায় গণধর্ষিতা কয়েক জন মহিলার সঙ্গে কথা বললেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মিহির ভট্টাচার্য।
শুক্রবার দুপুরে গাইঘাটার সুটিয়ায় এসেছিলেন আইজি। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য। সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী নিহত বরুণ বিশ্বাসের বাড়িতেও যান তাঁরা। বরুণের বাড়িতে এ দিন তাঁর বাবা-মা কেউ ছিলেন না। দিদি প্রমীলার সঙ্গে দেখা করে মিহিরবাবু বলেন, “আপনাদের সান্ত্বনা জানানোর ভাষা নেই। তবে গোটা ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
২০০০ সাল নাগাদ সুশান্ত চৌধুরী, বীরেশ্বর ঢালিদের মতো কয়েক জন দুষ্কৃতী সুটিয়া এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত। একের পর এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে তারা। ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে আন্দোলনে নামেন সুটিয়াবাসী। ওই মঞ্চের সম্পাদক বরুণ বিশ্বাসকে ক’দিন আগেই গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমেছে সিআইডি। ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ৫ জন।
এ দিন সুটিয়া বাজারে একটি ক্লাব ঘরে বসে নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তারা। ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’-এর সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার-সহ মঞ্চের আরও দুই সদস্য ছিলেন সেখানে। মঞ্চের তরফে পুলিশ কর্তাদের কাছে লিখিত ভাবে কয়েক দফা দাবি পেশ করা হয়। বরুণ খুনে ‘ষড়যন্ত্রকারী’দের খুঁজে বের করা, এলাকায় বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, সুটিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পটিকে ফাঁড়িতে উন্নীত করা-সহ আরও কিছু দাবি জানানো হয়েছে। ননীগোপালবাবু বলেন, “আমরা সম্প্রতি আইজি-র সঙ্গে দেখা করেছিলাম। উনি এলাকায় এসে বিস্তারিত জানার আগ্রহ দেখান। এ দিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।” |