মাঝরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে ঢিপ করে প্রণাম গৃহকত্রীকে।
তাঁকে অভয় দিতে ডাকাত দলেরই একজন বলেছিল, “মাসিমা, আমরা কিচ্ছু করব না। শুধু আলমারির চাবিটা দিয়ে দিন। একদম ভয় পাবেন না।”
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কৃষ্ণগঞ্জের নঘাটা-কালীতলার একটি বাড়িতে ঢুকে এই কায়দায় হাজার খানেক টাকার গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় ৬-৭ জনের ওই ডাকাত দলটি। বাড়ির কর্তা অরুণ দত্ত বলেন, “বাড়িতে ঢুকে আমার মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আলমারির চাবি চায় ওরা। কথাবার্তার আওয়াজে পাশের ঘর থেকে উঠে আসি আমি। আমাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গামছা দিয়ে বেঁধে দেয়। তারপর চোখের সামনেই আলমারি খুলে গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়।” |
স্থানীয় কেটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক অরুণবাবুর সঙ্গেই থাকেন তাঁর ভাই গোবিন্দ দত্ত। গোবিন্দবাবু জেলা পুলিশে কর্মরত। তাঁদের মা অপর্না দত্ত বাড়ির বাইরের ঘরেই থাকেন। তিনি বলেন, “বাইরের গ্রিলের দরজা ভেঙে ওরা ভিতরে আসে। পাশের ঘরের আলমারির চাবি চায়। ছেলেকে ডেকে দিতে বলে। রাজি হইনি। আমরা পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। ভয়ে আর কিছু বলতে পারিনি। ছেলে বেরিয়ে আসে। আমার পুত্রবধূর কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে লুঠপাট চালায়। তার পরে যায় গোবিন্দর ঘরে।” অভিযোগ, লুঠপাট চালিয়ে বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে দু’টি মোটরবাইক নিয়ে উধাও হয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ভিতর থেকে দরজায় বারবার ধাক্কা মেরে শিকল ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসেন অরুণবাবু।
তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন পড়শিরাও। খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশকেও। অরুণবাবু জানান, মোবাইলটিও খোয়া যাওয়ায় খবর দিতে দেরি হয় পুলিশকেও। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাড়ির পিছন থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে।” |