|
|
|
|
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে গুচ্ছ-পরিকল্পনা সংসদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। শিক্ষকদের জন্য নির্দিষ্ট বদলি-নীতি স্থির করা, নিয়মিত স্কুল পরিদর্শনের পাশাপাশি স্কুলের উন্নয়নে নিয়ম করে শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংসদ সভাপতি স্বপন মুর্মু। স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতিক হার কী সেই তথ্যসংগ্রহও শুরু হয়েছে। সভাপতির কথায়, “একটা সুষ্ঠু বদলি-নীতি তৈরি, স্কুল-পরিদর্শন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা, ছাত্র-শিক্ষকের আনুপাতিক হার জানা খুবই জরুরি। স্থানীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এক স্কুলের শিক্ষকের অন্য স্কুলে চাকরি করার ঘটনাও রয়েছে। সে-সব সমস্যা দূর করে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
মেদিনীপুর শহরের হাঁসপুকুর শহিদ ক্ষুদিরাম বিপ্লবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা প্রায় ৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন সরস্বতী শিশু-মন্দিরে। একই ভাবে শালবনির মালিদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা কয়েক বছর ধরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের হোসনাবাদের স্কুলে পড়াচ্ছেন। যদিও যে-স্কুলে তাঁদের নিয়োগপত্র ছিল, সেই স্কুল থেকেই বেতন হচ্ছিল। স্থানীয় ভাবে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ ভাবে এক-স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে অন্য স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। সভাপতির কথায়, “যদি শিক্ষক কম থাকার কারণে এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েই থাকে, তা হলে বদলি করাই তো শ্রেয়।” স্থানীয় সিদ্ধান্তে বদলি-প্রথা লোপ করার পক্ষপাতী সংসদ সভাপতি। এ জন্য তথ্য-সংগ্রহও শুরু হয়েছে। সভাপতি জানিয়েছেন, সুষ্ঠু বদলি-নীতি তৈরি করে চেষ্টা করা হবে প্রতিটি শিক্ষককে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুলে নিয়োগ করার। শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। যে স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক রয়েছেন তাঁদের কম-শিক্ষক থাকা স্কুলে বদলি করা হবে। তার আগে ছাত্র-শিক্ষকের আনুপাতিক হার নিয়ে তথ্য-সংগ্রহ করা হবে। কোন স্কুলের কী সমস্যা রয়েছে, তা জানার জন্য সপ্তাহে দু’দিন কর্মরত ও প্রাক্তন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলারও ব্যবস্থা হচ্ছে। স্কুলে নিয়মিত শিক্ষক বা ছাত্রছাত্রীর হাজিরা থাকছে কি না, ১১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা থাকছেন কি না, পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছে কি না---তা দেখতে পরিদর্শনের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই পরিদর্শনের বিষয়টি প্রায় উঠে গিয়েছিল। এ বার মাসে একবার না হলেও অন্তত তিন-মাসে একবার প্রতিটি স্কুল পরিদর্শন করতে হবে বলে স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি। |
|
|
|
|
|