|
|
|
|
তমলুক পুরসভা |
ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা সদর হিসেবে সরকারি স্বীকৃতির পর কেটে গিয়েছে দশ বছরেরও বেশি সময়। প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে লোকজনের আনাগোণা তো বেড়েছেই, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যাও। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাসদর তমলুকের রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়নি এতটুকু। রাস্তা সম্প্রসারণ তো দূরের কথা, উল্টে ফুটপাথ দখল হয়ে কমেছে পরিসর। যার ফলে ছোট গাড়ি আর মোটর সাইকেলেই নিত্য যানজট লেগে রয়েছে শহরে। তিতবিরক্ত পুরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে অবশেষে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে নড়েচড়ে বসেছে তমলুক পুরসভা। শহরের মানিকতলা মোড় থেকে জেলখানা মোড়-স্টীমারঘাট-বড়বাজার হয়ে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত ফুটপাথে যে সব অস্থায়ী নির্মাণ রয়েছে, সম্প্রতি তা সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বলেন, “শহরের রাস্তার ফুটপাথ দখল করে অনেক ব্যবসায়ী দোকানের জিনিসপত্র, সাইনবোর্ড রাখেন। প্রথমেই সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ফুটপাথের উপরে অস্থায়ী নির্মাণ-কাঠামোগুলিও উচ্ছেদ করা হবে। আগামী ২৬ জুলাই থেকে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে এই অভিযান চলবে।’’ |
|
ফুটপাথ জুড়ে জামাকাপড়ের পসরা।—নিজস্ব চিত্র। |
পুরসভা ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাচীন শহর হিসেবে তমলুকের ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলেও জেলা সদর হিসেবে পরিকাঠামোগত দুর্বলতা বড়ই প্রকট। দিনদিন জনবসতি বাড়লেও রাস্তাঘাট চওড়া হয়নি। উল্টে প্রধান রাস্তাগুলির ফুটপাথ দখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে একের পর এক। বেদখল হয়েছে রাস্তার দুধারের ফাঁকা জায়গা। ফলে শহরের ভিতর দিয়ে রাস্তায় বাস চলাচল তো বটেই, ট্যাক্সি-মোটর সাইকেল চালাতেও সমস্যা হয় যথেষ্ট। শহরের মানিকতলা থেকে পুরসভা অফিস হয়ে নিমতলা মোড় ও হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত পূর্ত দফতরের রাস্তা দিয়ে আগে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করত। পরে মেচেদা থেকে মানিকতলা হয়ে নিমতলা মোড় পর্যন্ত নতুন বাইপাস রাস্তা তৈরি করে পূর্ত দফতর। তাই শহরের ভিতর দিয়ে হলদিয়াগামী বাস আর চলাচল করে না। এখন কেবলমাত্র পাঁশকুড়া থেকে তমলুকগামী বাসগুলি পুরসভা অফিস পর্যন্ত যায়। আর মেচাদা থেকে শ্রীরামপুর, টেংরাখালী, পুরসাঘাটগামী স্থানীয় রুটের বাসগুলি রাজ ময়দান অবধি যাতায়াত করে। বাস চলাচল বন্ধ হলেও শহরের ভিতরের রাস্তাগুলির ধারে দোকানের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপক হারে। অধিকাংশ দোকানের জিনিসপত্র আবার থাকে ফুটপাথের উপরেই। ফলে হাঁটার কোনও জায়গা থাকে না। কয়েক বছর আগে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিল পুরসভা। সেই সময় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ফের ফুটপাথগুলি বেদখল হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ফের ফুটপাথ দখলমুক্ত করে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। উপপুরপ্রাধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, “আগামী ২৬-২৮ জুলাই অভিযান চলবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।’’ পুরসভার এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনও। ব্রহ্মা বারোয়ারি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “কয়েক বছর আগেও পুরসভা একবার পদক্ষেপ করেছিল। তাই পুরসভাকে নিয়মিত নজরদারি চালাতে বলছি আমরা।” |
|
|
|
|
|