|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
সমন্বয় |
বাঙালির তুমি... |
চন্দন রুদ্র |
সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের সমন্বয় গড়ে তুলতে ফুটবল। সেই প্রতিযোগিতারই ফাইনাল ঘিরে সম্প্রতি মেতে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মাঠ। ফাইনালে পুজালি অ্যাথলেটিক ক্লাবকে হারিয়ে প্রথম আলিপুর সদর মহকুমা সমন্বয় কাপ জিতে নেয় বজবজ ফুটবল অ্যাকাডেমি।
আলিপুর সদর মহকুমা সমন্বয় কমিটি আয়োজিত এই নক আউট ফুটবলের ফাইনালে শুরু থেকেই নজর কাড়েন চ্যাম্পিয়ন দল বজবজ অ্যাকাডেমির ফুটবলারেরা। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যান তাঁরা। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে আরও পিছিয়ে পড়ে পুজালি দল। গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে ৫-০ তে ম্যাচ জিতে যায় বজবজ ফুটবল অ্যাকাডেমি। হ্যাটট্রিক করেন তারিক আহমেদ। বাকি গোল দু’টি করেন হাবিব আলি এবং সোহরাবুদ্দিন মল্লিক।
বিজয়ী দলের অধিনায়ক নাজিমুুদ্দিন বললেন, “আমাদের এই দুটো দলের লড়াই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। ম্যাচটা জিততে পেরে ভাল লাগছে।” দলের কোচ চিন্ময় চক্রবর্তীও কৃতিত্ব দিচ্ছেন খেলোয়াড়দেরই। |
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
অ্যাকাডেমির সচিব জয় কাণ্ডু বলেন, “১৯৯৭-তে অ্যাকাডেমি চালু করি। পুরসভার সুভাষ উদ্যানে চলা এই অ্যাকাডেমি থেকে ইতিমধ্যেই আট জন মোহনবাগানে খেলেছেন। জুয়েল রানা, তারিক আহমেদ, সোহরাবুদ্দিন মল্লিক, প্রলয় দত্ত, অবিনাশ রুইদাসের মতো উঠে আসছেন আরও নতুন খেলোয়াড়।”
আলিপুর সদর মহকুমার রবীন্দ্রনগর, বজবজ, মহেশতলা, নোদাখালি ও বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে বাছাই করা ১৬টি দল নিয়ে প্রথম বারের এই মহকুমা সমন্বয় কাপের সূচনা হয় গত ১৯ মে, রবীন্দ্রনগর ফুটবল মাঠে। আয়োজক কমিটির দুই সদস্য, মহেশতলা ও রবীন্দ্রনগর থানা সমন্বয় কমিটির সম্পাদক সুজয় সরকার ও পিনাকী ঘোষ জানালেন, পাঁচটি থানার ন’টি মাঠে এক মাস ধরে চলেছে প্রতিযোগিতা।
ফাইনাল ম্যাচের সূচনা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সোমেন মিত্র। বিজয়ী দলের হাতে অশনি দে স্মৃতি চ্যালেঞ্জ উইনার্স কাপ তুলে দেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। রানার্স দল পায় নৃপেন দাশগুপ্ত স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ। প্রতিযোগিতা ও ফাইনালের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের দুই ফুটবলার সোহরাবুদ্দিন মল্লিক ও কৌশিক মাঝি। ফেয়ার প্লে ট্রফি পায় বাখরাহাট যুব সঙ্ঘ। মহেশতলা, বজবজ, পুজালি পুরসভার তিন চেয়ারম্যান যথাক্রমে দুলাল দাস, ফুলু দে, ফজলুল হক এবং মহেশতলা ও বজবজ পুরসভার দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রশান্ত মণ্ডল ও গৌতম দাশগুপ্ত, মহেশতলার বিধায়ক কস্তুরী দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মহকুমাশাসক তনবির আহমেদ বলেন, “উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনকে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। এ ভাবে খেলাধুলোর মাধ্যমে সে কাজটা সহজ হবে।” |
|
|
|
|
|