|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
পুজালি |
বৃদ্ধাবাসের অপেক্ষায় |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
অর্থাভাবে আটকে আছে পুজালি পুরসভার বৃদ্ধাবাস তৈরির কাজ।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ২০১০-এ বৃদ্ধাবাস তৈরির কাজ শুরু করে পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে অর্থ আসে কলকাতা আর্বান সার্ভিসেস ফর পুওর (কেইউএসপি), ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট এবং পুরসভার তহবিল থেকে। কিন্তু এখন টাকার অভাবে কাজ আটকে রয়েছে। পুজালি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় আড়াই একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে এই বৃদ্ধাবাস। গঙ্গা থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা।
এই অঞ্চলটি কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টাখানেক দূরে। কোলাহল এবং দূষণও কম। পুজালি পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার চেয়ারম্যান এবং পুরসভার প্রাক্তন এক আধিকারিক তাই গঙ্গার কাছে এই বৃদ্ধাবাসটি তৈরির প্রস্তাব দেন। এর পরে পুরসভার কাছেই একটি জমিতে বৃদ্ধাবাস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। এখনও পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯৬ লক্ষ টাকা। পুরসভা সূত্রে খবর, বাকি কাজ শেষ করতে এখনও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দরকার। |
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
পুজালি পুরসভার বাস্তুকার সুজিত পাল বলেন, “এই মুহূর্তে ৫০ জন আবাসিকের কথা মাথায় রেখে বৃদ্ধাবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। এক জনের জন্য ঘর, দু’জনের জন্য ঘর এবং ডর্মেটরির ব্যবস্থা থাকবে। থাকছে বাগান, বেড়ানোর জায়গাও।” এখানে থাকতে গেলে এককালীন অর্থের পাশাপাশি মাসিক টাকাও দেওয়া যাবে। আর্থিক ভাবে দুর্বল প্রবীণদের জন্য কয়েকটি আসন সংরক্ষণ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে। তা ছাড়া প্রথম পর্যায়ে ৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা হলেও পরে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
পুরসভা লাগোয়া এই বৃদ্ধাবাসের পাশেই রয়েছে পুরসভার হাসপাতাল। ফলে প্রবীণেরা অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। পরে এই বৃদ্ধাবাসের মধ্যেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। কিন্তু, এখন বৃদ্ধাবাস তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বাকি কাজ করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার, তা এই মুহূর্তে পুরসভার হাতে নেই। তাই তারা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছে বাকি কাজটি যৌথ উদ্যোগে শেষ করার জন্য প্রস্তাব করেছে।
পুজালি পুরসভার পুরপ্রধান ফজলুল হক বলেন, “বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নারী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং এলাকার সাংসদ সোমেন মিত্রের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|