|
|
|
|
অব্যবস্থা, সরব মহিলা সংগঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘বিদ্যাসাগর বালিকা হোমে’র অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে বাম-মহিলা সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে সরকারি নজরদারির যথেষ্টই অভাব রয়েছে। যেটুকু অর্থ বরাদ্দ হয়, তারও সদ্ব্যবহার হয় না। সিপিআইয়ের মহিলা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক ভারতী রাণা-র অভিযোগ, “সরকারি নজরদারি অভাব রয়েছেই। গত এক বছরে সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হোমেও একই পরিস্থিতি। নিরাপত্তাআগের থেকেও ঢিলেঢালা হয়েছে।” গুড়াপ-কাণ্ডের উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ে বিক্ষোভ-সভা করে এসইউসিআইয়ের সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জয়শ্রী চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে গুড়াপ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃত্ব। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুনীতা গুপ্ত বলেন, “মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা হোমেও অব্যবস্থা চলছে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষী নেই। ওখানেও ছেলেদের যাতায়াত রয়েছে। এ-সব বন্ধ করতে হবে।” |
 |
হোমে অব্যবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র। |
তাঁর বক্তব্য, “আগেও আমরা ওই হোমে গিয়ে দাবি-দাওয়া জানিয়েছি। কিন্তু অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। আগে যেমন চলছিল, এখনও তেমনই চলছে।” মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী উত্তরা সিংহ অবশ্য দাবি করেছেন, “গত এক বছরে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে।” তিনি বলেন, “মেদিনীপুরের সরকারি হোমে আগের থেকে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বেড়েছে।” উত্তরাদেবী আবার জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিরও চেয়ারপার্সন। মহিলা-হোমে কি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকলে ভাল হত না? তিনি বলেন, “মহিলা নিরাপত্তারক্ষীই রাখা উচিত। ইতিমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবি জানিয়েওছি।” তাঁর কথায়, “ডেবরার একটি বেসরকারি হোমের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ এসেছিল। দ্রুত এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে সুপারিশও করা হয়েছে।” বেসরকারি হোমগুলি নিয়ে মাঝেমধ্যেই নানা অভিযোগ ওঠে। অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আবাসিকদের থাকতে হয়। মশারিও মেলে না। জামাকাপড় অপরিচ্ছন্ন। নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের অবশ্য দাবি, যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয় (সরকারি, বেসরকারি হোমে আবাসিক-পিছু মাসে ৭৫০ টাকা) তাতে পুষ্টিকর খাবারই দেওয়া সম্ভব। তবুও কোথাও কোথাও ‘মুনাফা’র জন্য আবাসিকদের বঞ্চিত করা হয়। প্রতিবাদ করলে শারীরিক নির্যাতন জোটে এমনিতেই বঞ্চিত, ক্ষীণ মানুষগুলির। ফলে, ভয়েই আবাসিকরা কিছু বলেন না। |
|
|
 |
|
|