|
|
|
|
পিংলায় গ্রেফতার সিপিএমের নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অপহরণ করে এক তৃণমূল-কর্মীকে ‘খুন’ এবং পরে ‘লাশ গায়েবে’র অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা অঞ্চলে সিপিএমের জোনাল কমিটির এক সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম কালীপদ মান্না। বাড়ি পিংলা থানার জামনা অঞ্চলের রাজবল্লভ গ্রামে। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কালীপদবাবু সিপিএমের পিংলা জোনাল কমিটির সদস্য। রাজ্যে পালাবদলের পরে দীর্ঘ দিন ঘরছাড়া ছিলেন। পরে মাঝেমধ্যে বাড়ি আসতেন। আজ, শনিবার তাঁকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
তৃণমূল-কর্মী খুন ও লাশ গায়েবের এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ২০০০-এর ৪ নভেম্বর পিংলার মালিগ্রাম থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন গুছাইতকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’র বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় বেশ কয়েক জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নাম। এর পর থেকে মনোরঞ্জনবাবুর আর খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ওই তৃণমূল-কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, মনোরঞ্জনকে খুন করে তাঁর দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পরে এ নিয়ে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বছরের অগস্টে পিংলা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ ওই তৃণমূল-কর্মীর বৃদ্ধ বাবা সুভাষ গুছাইত। অভিযোগপত্রে সব মিলিয়ে ৪২ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আগে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ক্ষীরাই খালপাড়-সহ একাধিক জায়গায় গিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পিংলার তৃণমূল নেতা গৌর ঘড়াইয়ের দাবি, “সিপিএমের বাহিনী আমাদের বহু কর্মীকেই অপহরণ করে খুন করেছে। তাঁদের পরিবারের লোকজন এখন বিচার চাইছেন।” তাঁর অভিযোগ, “কালীপদ মান্না সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর নেতা। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করেছেন।” স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পুলিশ খবর পায়, সিপিএমের জোনাল কমিটির এই সদস্য নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। এর পর গ্রামে গিয়ে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য এর পিছনে শাসক তৃণমূলের ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ই দেখছেন। পিংলা-র ওসি হীরক বিশ্বাসের অবশ্য বক্তব্য, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|