পাখির আঙিনায় পুজো-পর্যটন
প্রথম বছর এসেছিল ৫০ থেকে ৬০ জোড়া। পরের বছর আরও বেশি। এ বার আড়াই হাজারের বেশি শামুকখোল সংসার পেতেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের আঙিনা এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে জেলার মন্ত্রী থেকে পর্যটন দফতরে দরবার করছেন ‘আঙিনা পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষা সমিতি’। আজও কিছুই হয়নি। তাই সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিত বসাক ও সদস্যরা সম্প্রতি কলকাতার পর্যটন মেলায় আঙিনা পাখিরালয়কে সামনে রেখে জেলার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটনক্ষেত্র গুলিকে একসূত্রে বেঁধে পুজোয় দু’দিনের এক ভ্রমণসূচি তৈরি করে ফেলেছেন সমিতির কর্মকর্তারা।
ছবি: অমিত মোহান্ত।
আঙিনা পাখি ও পরিবেশ সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিতবাবু বলেন, “ইতিমধ্যে আঙিনার জঙ্গলে ছোট ছোট তাঁবু তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। লণ্ঠনের আলোয় রাতে থাকার ব্যবস্থা হবে। গ্রাম ঘুরে পুকুরে ছিপ ফেলে কিংবা জাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থাও থাকবে।” তিনি জানান, গঙ্গারামপুরে ঐতিহাসিক বানগড় দুর্গনগরী দর্শন পুরাতত্ত্বের নিদর্শন সম্বলিত চারদিকে পরিখা দিয়ে ঘেরা বানরাজার এই দুর্গনগরী ঘোরানো হবে। কালদিঘি, ধলদিঘি, মালিয়ান দিঘি, আলতাদিঘির ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার বিষয়টিও প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। বখতিয়ার খিলজীর সমাধি, শমীবৃক্ষ সহ একাধিক পুরাতত্ত্বের নিদর্শন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হিলি সীমান্তেও। বালুরঘাটে অতিথিশালা কিংবা লজে রাত্রিবাস করানোর কথা ভেবেছেন উদ্যোক্তারা। প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে পর্যটন সচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামিল হয়েছেন আঙিনা গ্রামের মানুষও। এখন আঙিনায় শিমূল-বট-পাকুড়ের আস্তানায় শামুকখোলের কলরব। জুনের প্রথমে আসা শুরু হলেও এবছর একটানা তীব্র দাবদাহের কারণে পাখির সংখ্যা প্রথমটায় কিছুটা কম ছিল। বর্ষার মরসুম শুরু হতেই পরিযায়ীদের ঢল নেমেছে। সকালে খাল-বিল মাঠে খাবার সংগ্রহে ওড়াওড়ির অন্ত নেই শামুকখোলের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.