|
|
|
|
|
|
নেই উদ্যোগ |
বেদখল বুলেভার্ড |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
বুলেভার্ড জুড়ে বাজার। রয়েছে ঝুপড়ি এবং গ্যারাজও। এমনই অবস্থা হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ও এইচআইটি রোডের। অভিযোগ, দখলদারদের উচ্ছেদে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের হ্যাংসাং মোড় থেকে দাশনগরের শানপুর পর্যন্ত বুলেভার্ডের অনেকটা অংশ দখল হয়ে গিয়েছে। গজিয়ে উঠেছে ঝুপড়ি ও নানা দোকান। অনেক সেখানে ইমারতি দ্রব্য রাখেন। তৈরি হয়েছে গ্যারাজও। এমনকী বেলেপোলের কাছে বুলেভার্ডে ভ্যাটও তৈরি হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় আবার বুলেভার্ডই নেই, দু’টি লেন মিশে গিয়েছে। |
|
এইচআইটি রোডের বুলেভার্ডও অধিকাংশ জায়গায় দখল হয়ে গিয়েছে। এই বুলেভার্ডে কদমতলা বাজারের একটি অংশ উঠে এসেছে। বাজারের আবর্জনাও বুলেভার্ডে জমছে। যদিও কদমতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে কেউ মন্তব্য করতে
রাজি হননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সৌন্দর্যায়ন দূর অস্ৎ, বুলেভার্ড দখলমুক্ত করার ব্যাপারেও পুরসভার কোনও উদ্যোগ নেই। হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সওয়াল বলেন, “বুলেভার্ডে দোকান-বাজার বসার নিয়ম নেই। পুরসভার ভিজিল্যান্স নেই, তাই বুলেভার্ড দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না। এগুলিকে দখলমুক্ত করা পুরসভা ও পুলিশের যৌথ দায়িত্ব। আপাতত সৌন্দর্যায়নের কোনও পরিকল্পনা নেই।” |
|
হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত ডিসি (দক্ষিণ) সুমনজিৎ রায় বলেন, “বুলেভার্ড যাঁদের দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা দখলদারি সরানোর জন্য পুলিশের কাছে আবদেন করলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।” পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হাওড়া পুরসভা সক্রিয় নয়। হাওড়ার সৌন্দর্যায়নের কাজ কেএমডিএ করছে। এভাবে বুলেভার্ড দখল বেআইনি। বুলেভার্ডের সৌন্দর্যায়ন এইচআইটি করবে। এর জন্য এইচআইটি-কে বিশেষ ফান্ড দেওয়া হবে।” |
ছবি: প্রদীপ আদক |
|
|
|
|
|