|
|
|
|
|
|
খেলা |
এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন |
চন্দন রুদ্র |
অনেকেরই পরিবার স্বচ্ছল নয়। অনেকেরই সরঞ্জাম কেনার সাধ্য নেই। তবে এঁদের লক্ষ্য এক, ভাল হকি খেলোয়াড় হওয়া। সম্প্রতি এঁদের নিয়ে ডুমুরজলায় হয়ে গেল সারা বাংলা আমন্ত্রণী মহিলা হকি প্রতিযোগিতা। আয়োজন করেছিল হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টার। কয়েক জন নজরও কাড়লেন।
১৪ দলের এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে বর্ধমানের ঝাপড়াডাঙা জুমিত ঝুনতা দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় বার খেতাব জিতে নিল মধ্য কলকাতার বো হকি অ্যাসোসিয়েশন। ডুমুরজলার ধ্যানচাঁদ হকি গ্রাউন্ডে ফাইনালের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল মধ্য কলকাতার দলটির। গোল করেন অধিনায়ক সুশীলা তিরকে, রমা সাউ ও লতা কুজুর। লতা কুজুরই পান প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। সেরা খেলোয়াড় হন ঝাপড়ডাঙার অঞ্জলি সরেন। |
|
চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ডলি দাস বললেন, “চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাই খুশি। কিন্তু নানা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে দল চলছে। আমাদের নিজস্ব কোনও মাঠ নেই। সাধারণত পিছিয়ে পড়া ঘরের মেয়েরা আসেন। অনেকেরই সরঞ্জাম কেনার সামর্থ্য নেই।” বিজয়ী দলের খেলোয়াড় রমা সাউ ইতিমধ্যে সিনিয়র বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছেন। বেহালার এই মেয়েটির আক্ষেপ, “এখানে অ্যাস্ট্রো টার্ফে খেলার সুযোগ নেই। অন্য অনেক রাজ্যেই টার্ফ রয়েছে। চাকরিরও অভাব। জানি না কত দিন চালিয়ে যেতে পারবো।”
হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টারে নিয়মিত হকি চর্চা হয়। আয়োজক এই সংস্থার কার্যকরী সভাপতি অশোক পালের কথায়: “মেয়েদের হকি প্রতিযোগিতা খুব বেশি হয় না। বাংলার মেয়েদের আরও এগিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই হকি প্রতিযোগিতা শুরু করেছি।” |
|
চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রাক্তন খেলোয়াড় ও অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহ। তিনি বলেন, “বেশি করে এমন প্রতিযোগিতা হলে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। ডুমুরজলায় অ্যাস্ট্রো টার্ফ হলে শুধু হাওড়া নয়, কলকাতার হকিরও উন্নতি হবে।” ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর তন্দ্রা বসু প্রমুখ। প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় ষষ্ঠী ঠাকুরের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার।
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|