গোঘাটের গ্রামে ‘আক্রান্ত’ তৃণমূল,অভিযুক্ত সিপিএমের মহিলারাও |
২১ জুলাই দলের ‘শহিদ দিবস’-এর সমর্থনে পথসভার সময়ে শুক্রবার গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রামে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপরে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মূলত মহিলাদের ওই হামলায় তাদের ১২ জন জখম হন বলে দাবি তৃণমূলের। ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, সকালে তৃণমূলের মিছিল থেকে তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয়। তাদের তিন নেতা-কর্মী আহত হন। এর পরেই গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে সিপিএমের দাবি। গ্রামটি সিপিএম প্রভাবিত। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। |
তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায় বলেন, “আমি সকলের শেষে বক্তৃতা দিচ্ছিলাম। মহিলাদের পিছনে সিপিএমের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। মহিলারা এসে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। যে যাঁর মতো পালানোর চেষ্টা করি।”
সিপিএমের অভিযোগ, ওই সভার আগে মিছিলের সময়ে তৃণমূল যথেচ্ছ হামলা করেছে। প্রথমেই তারা সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষের বাড়ির গেট ভাঙার চেষ্টা করে। বাড়ির মহিলারা প্রতিবাদ করতে বের হলে কটূক্তি করা হয়। পূর্ব দাসপাড়ায় ঢুকেও মিছিল থেকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেষে দিঘিরপাড়ায় ঢুকে সিপিএমের সক্রিয় কর্মী চিত্তরঞ্জন বাগ এবং কুণাল সিংহকে ঘরে ঢুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে হামলার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমরাদের কর্মীদের মেরেছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।” সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “মিছিলের নামে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা করল তৃণমূল। বারবার এ রকম ঘটনা ঘটছে। আর কত সংযত থাকবেন মানুষ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গণতন্ত্র কেমন প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা মানুষ টের পাচ্ছেন।” থানায় অভিযোগ দায়ের না করা প্রসঙ্গে অরুণবাবু বলেন, “আমাদের পক্ষে যিনি অভিযোগ করতে যান, তাঁকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন নজির থাকায় মানুষ থানায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। তবে, দলের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল কমিটির পক্ষে অভিযোগ জানানো হবে।” মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী জানান, সকাল থেকেই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে, পুলিশকর্মী সংখ্যায় কম থাকার কথা তিনি মেনে নিয়েছেন।
|