|
ঘাটতি দেশ জুড়েই,
বৃষ্টি নামাতে প্রার্থনা কর্নাটকে
নিজস্ব সংবাদাতা • কলকাতা |
|
বৃষ্টি নেই। মাঠ ফুটিফাটা। রাজ্য খরার মুখে। এই অবস্থায় বরুণ দেবকে সন্তুষ্ট করতে রাজ্যের ৩৪ হাজার মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করেছে কর্নাটক সরকার। এ জন্য প্রতিটি মন্দিরকে ৫ হাজার টাকা করে খরচ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ওই প্রার্থনার জন্য খরচ হবে মোট ১৭ কোটি টাকা। রাজ্যের মসজিদ ও গির্জাগুলিকেও বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু প্রার্থনার জন্য ওই বিপুল টাকার সংস্থান কোথা থেকে হবে? রাজ্যের ত্রাণমন্ত্রী কে এস পূজারী বলেছেন, করদাতাদের উপরে কোনও চাপ দেওয়া হবে না। মন্দিরগুলিকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকেই ওই টাকা খরচ করতে বলা হয়েছে। কর্নাটকের ত্রাণ দফতর সূত্রের খবর, গত ৪২ বছরে রাজ্যে এ রকম অনাবৃষ্টির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
এ বারের বর্ষার খামখেয়ালিপনার শিকার কিন্তু শুধু কর্নাটক নয়। আরও খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের পাঁচটি এলাকা। বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ কর্নাটকে বৃষ্টি ঘাটতি ৫০%। অন্য দিকে গুজরাতের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে ঘাটতি ৭২% ছুঁয়েছে। কৃষি উৎপাদনে দেশের সেরা দুই রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় বৃষ্টির ঘাটতি ছুঁয়েছে ৬৯%। পশ্চিম রাজস্থান ও হিমাচলপ্রদেশেও বৃষ্টি ঘাটতি ৫০%। গোটা দেশে অনাবৃষ্টির প্রথম ১০-এর তালিকায় ঢুকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গও। এখানে বৃষ্টি ঘাটতি ৩১%। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ শেষে সারা দেশে
বৃষ্টির ঘাটতি ২২%। হওয়ার কথা
ছিল ৩২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি। হয়েছে ২৫৬ মিলিমিটার।
তবে অন্য রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন। এখানে রাজ্যের দুই প্রান্তে দু’রকম পরিস্থিতি। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই দু’বার বন্যা হয়েছে। তবুও বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আর দক্ষিণবঙ্গ বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে রয়েছে আকাশের দিকে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গের উপরে মৌসুমি অক্ষরেখা দিব্যি রয়েছে। অথচ পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। কেন এই অবস্থা?
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, মৌসমি অক্ষরেখা সবে উত্তরবঙ্গ থেকে নীচের দিকে নেমেছিল। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বুধবার থেকে বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গে দু-তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালের পর থেকে আকাশে মেঘ সরে গিয়ে সূর্য ওঠে চনমনিয়ে। বৃষ্টির পরিমাণও কমে যায়। ওড়িশা উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় গাঙ্গেয় উপত্যকায় মৌসুমি অক্ষরেখা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভবনাও সেই সঙ্গে অনেকটা দুর্বল হয়ে গেল বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা।
|
বৃষ্টি কোথায়
(১ জুন থেকে ১৮ জুলাই) |
এলাকা |
ঘাটতি* |
সৌরাষ্ট্র |
৭২ |
পঞ্জাব-হরিয়ানা |
৬৯ |
পশ্চিম রাজস্থান |
৫৫ |
হিমাচল প্রদেশ |
৫০ |
দক্ষিণ কর্নাটক |
৫০ |
মূল গুজরাত |
৪৯ |
মধ্য মহারাষ্ট্র |
৪১ |
মধ্য কর্নাটক |
৩৭ |
দক্ষিণবঙ্গ |
৩১ |
সারা দেশ |
২২ |
*(শতাংশ) |
|