পকেটমারের দল এ বার ভিড় করছে লন্ডনে। অলিম্পিক শুরু হতে আর সপ্তাহখানেক দেরি। তাই পর্যটকের ভিড় বাড়তে আরম্ভ করেছে শহরে। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পকেটমারিও।
ব্রিটিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, লন্ডনের স্নিক স্ট্রিটে প্রতিদিন এই পকেটমারেদের হাতে প্রায় ১৭০০ পথচারীর কিছু না কিছু খোয়া যায়। এই পকেটমাররা বেশিরভাগই এসেছে রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং লাতিন আমেরিকা থেকে।
এই পকেটমাররা প্রথমে মদ্যপ লোকের ভান করে। পথচারীদের কাছে রাস্তা পার করার সাহায্য চায়। কেউ একটু ‘ভালোমানুষ’ হলে তো আর কথা নেই। তার অন্যমনস্কতার সুযোগ নিয়ে মানি ব্যাগ, মোবাইল কি ল্যাপটপ সব পর পর সাফ করে ফেলে। চুরি করা জিনিসগুলো চলে যায় রোমানিয়া। তার পর সেখানকার কালোবাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ রোজগার করে । এই করেই তারা নিজেদের দেশে বাড়ি-গাড়িও করে ফেলেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই পকেটমাররা এক সপ্তাহে কেবল মানিব্যাগ চুরি করে ৪ হাজার পাউন্ড আয় করে। সরকারি পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, এই অলিম্পিককের কারণে শহরে চুরির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে বেশিরভাগই পকেটমারি। ছিনতাইয়ের অভিযোগ প্রায় ৮৩ হাজার। লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন বলেন, “আমরা রোমানিয়ার সরকার এবং ওদের অভিবাসন দফতরের সঙ্গে কথা বলব। কারা এটা করছে তাদের খুঁজে পেয়ে যাব।”
আবার লন্ডনের গোয়েন্দা বিভাগের এক অধিকর্তার গলায় অন্য সুর। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা খুব ভালভাবে জানি কারা এ কাজ করছে। আমরা তাদের আস্তানাও চিনি। আচমকা গিয়েই এদের গ্রেফতার করব।” যদিও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে গত কাল থেকে ৮০ জনকে পকেটমারির অভিযোগে ধরা হয়েছে। |