চালানে লেখা ছিল, ১৫০ বস্তা চাল যাচ্ছে পুরুলিয়ায়। কিন্তু ট্রাক তল্লাশি করে মিলল ২০০ বস্তা ইউরিয়া সার। শুক্রবার এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “পুরুলিয়া নিয়ে গিয়ে এই সার চড়া দামে বিক্রি করা হত বলেই আমাদের সন্দেহ। চালানে অন্য জিনিসের কথা বলে ট্রাক বোঝাই করে সার নিয়ে যাওয়ার পিছনে একটি চক্রের হাত রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। থানাকে গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে।” পুলিশ খণ্ডঘোষ ব্লকের সহ-কৃষি আধিকারিক বাসবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাকের চালক ও খালাসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের একটি চালকল থেকে ট্রাকটিকে এই চালান দেওয়া হয়েছিল। এই ট্রাক পুরুলিয়ার ব্রজপুরের সুরেন সাউ নামের এক ব্যক্তির কাছে যাচ্ছিল। এই সারের অবৈধ চালানে জড়িত বাঁকুড়ার ইন্দাসের এক ব্যক্তির খোঁজও মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। সারের দাম অনেক বাড়বে অনুমান করেই এক শ্রেণির ব্যবসায়ী তাদের কাছে জমে থাকা সার এ ভাবে ভিন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া শুরু করেছেন বলে পুলিশের সন্দেহ।
|
ডাউন জামালপুর এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রেলপুলিশ তিনটি ওয়ান শটার উদ্ধার করল রেলপুলিশ। শুক্রবার ভোরে বর্ধমান স্টেশনের ঘটনা। আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। রেলপুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রবিশঙ্কর কুমার। সে ভাগলপুর থেকে হাওড়া যাচ্ছিল বলে রেলপুলিশকে জানিয়েছে। বর্ধমান আদালতে তোলা হলে সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদ ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |