কলেজে ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল কলেজের ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে বেশ কিছু পড়ুয়া শুক্রবার রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন দুই ছাত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে ওই কলেজে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও।
বছরখানেক আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এই কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করে টিএমসিপি। তার পর থেকেই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টরাজ এবং কলেজের টিএমসিপি-র ইউনিট সম্পাদক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে নানা বিষয়ে বিবাদ বেধেছে বলে কলেজ ও স্থানীয় সূত্রের খবর। বাপ্পাবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আর্থিক নয়ছয় এবং অসভ্যতার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিল সৌমিত্র-গোষ্ঠী। ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করেও এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। |
সৌমিত্রবাবুর অভিযোগ, “ছাত্র সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা আরও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রীদের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়েছে। ভর্তি হওয়া এবং না হতে পারা অনেক ছাত্রছাত্রী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।” বিষয়টি তিনি সংগঠনের জেলা সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান সৌমিত্রবাবু। জেলা সভাপতি অশোক রুদ্র জানান, বাপ্পাবাবুকে এর আগে সংগঠন বিরোধী কাজের জন্য টিএমসিপি-র রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। তিনি বলেন, “কলেজের পরিচালন সমিতিকে বাপ্পার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।”
বাপ্পাবাবুর অবশ্য পাল্টা দাবি, “অশোক রুদ্রর মদতে ও সৌমিত্রর নেতৃত্বে কলেজের প্রায় তিন হাজার ছাত্রের কাছ থেকে ভর্তির সময়ে বিনা রসিদে ৩০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। সেটা প্রায় সবাই জেনে গিয়েছে বুঝে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে ওরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।” অশোকবাবু ও সৌমিত্রবাবু অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ শীতল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “নির্দিষ্ট কারও নাম না লিখে দুই ছাত্র অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি। তা পেলে পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।” |