দুর্নীতির অভিযোগে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন পঞ্চায়েতের অধিকাংশ তৃণমূল সদস্য। শুক্রবার আস্থা ভোটে অপসারিত হলেন কেতুগ্রামের সিতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান আতাউর রহমান।
শুক্রবার সিতাহাটি পঞ্চায়েতে আস্থা ভোটে প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেন ৯ জন সদস্য। তাঁদের নাম গিরীশ দাস (পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান), পঞ্চায়েত সদস্য নীলিমা দাস, কবিতা মণ্ডল, বিকাশ বিশ্বাস, ঝর্ণা বালা, পূর্ণিমা দাস, চিত্তরঞ্জন ঘোষ, অভিমন্যু হালদার ও মধুসূদন হালদার। মোট ১৩ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে প্রধান-সহ এক তৃণমূল সদস্য ও দুই সিপিএম সদস্য এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েতের উন্নয়ন আধিকারিক উদয়নারায়ণ দে-র উপস্থিতিতে এ দিন ভোটাভুটি হয়।
কেতুগ্রাম ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুলাইয়ে প্রধান পদে বিজেপির বিকাশ বিশ্বাসকে আস্থা ভোটে হারিয়ে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের আতাউর। কিন্তু কয়েক মাস কাটতেই পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় তাঁর।
ইতিমধ্যে বিজেপির বিকাশবাবু-সহ সিপিএমের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের মোট সদস্য দাঁড়ায় ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই এ দিন প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরেই বিডিও হেমন্ত ঘোষের কাছে আতাউরের বিরুদ্ধে তাঁরা দুর্নীতির অভিযোগ করছিলেন বলে খবর। পঞ্চায়েতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান হওয়ার এক বছরের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যায় না। তাই প্রধান হিসেবে আতাউরের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরের দিনই, গত ৭ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের ওই ৯ সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, আতাউর ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর বণ্টন থেকে একশো দিনের কাজ, পঞ্চায়েতের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজেই দুর্নীতি করছেন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শ্যামল মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আতাউরকে প্রধান করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে পঞ্চায়েত সদস্যেরা তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন।” আতাউর রহমান অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |