তৃণমূল সমর্থক একটি পরিবারের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে খণ্ডঘোষের আমরুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই পরিবারের কর্তা বৈদ্যনাথ বাঁসুলি, তাঁর স্ত্রী ছায়াদেবী ও ছেলে দোলগোবিন্দ এই ঘটনায় জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাস বলেন, “এই ঘটনায় দলের কোনও গোষ্ঠী জড়িত কি না, তা দেখা হচ্ছে।”
শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তৃণমূল সমর্থক বৈদ্যনাথবাবু অভিযোগ করেন, গ্রামে সিপিএম করা এক দল লোকে সম্প্রতি তাঁদের দলে যোগ দিয়েছে। দলেরই কিছু নেতার মদতে এখন তারা তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। বৈদ্যনাথবাবুর কথায়, “এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই লোকেরা আমাদের মারধরের হুমকি দিচ্ছিল। ২১ জুলাই ধর্মতলায় দলের জনসভার সমর্থনে এলাকায় দলের যে সভা হয়, তাতে আমরা গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পরেই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া তারাপদ, সুভাষ, কার্তিক বাঁসুলিরা আমাদের উপর লাঠি, টাঙ্গি, রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।” |
খণ্ডঘোষ থানার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, এই হামলাকারীরা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বিশ্বনাথ কোনারের অনুগামী। যাঁদের উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁরা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মনির অনুগামী। তবে এই ঘটনা নিয়ে দুই নেতাই মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের দু’জনেরই বক্তব্য, খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা যাবে না। খণ্ডঘোষের তৃণমূল নেতা অলোক মাজি বলেন, “ওই গ্রামে একটি মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তাতে সিপিএম থেকে আসা লোকেরা জড়িত কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” দলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাসও বলেন, “মারপিটের ঘটনা কী করে ঘটেছে, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” |