টুকরো খবর
সাত ঘণ্টা অবরোধ
টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রায় ৭ ঘণ্টা জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষণপুরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে এবং তুলসিহাটা-ভালুকা রাজ্য সড়কে ওই অবরোধ আন্দোলন হয়। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে এ দিন সকাল থেকে নিত্যযাত্রীদের নাকাল দশা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে দুপুর দুটো নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুন বিশ্বাস বলেন, “বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কর্মীরা দ্রুত কাজ করতে পারছে না। তাই সময় লাগছে।” হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ থেকে কড়িয়ালি, মশালদহ, লক্ষণপুর, ডুমুরখোলা, নিস্কিতপুর, খোকরা ও ঝিকোডাঙা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ বন্টন দফতরে সমস্যার কথা জানিয়ে লাভ হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কিন্তু তার পরেও কাজ না হওয়ায় এ দিন তাঁরা বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের কর্তাদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বাসিন্দাদের একাংশ ভালুকায় তাঁদের দফতরে ভাঙচুর চালায়। চারজন কর্মীকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এ দিন পথ অবরোধ করে বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, পরিষেবা স্বাভাবিক না করে বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের কর্তারা পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁরা দায়ের করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার দাবিও জানান। যদিও বিদ্যুৎ বন্টন বিভাগের উত্তর মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বলেন, “অভিযোগ তুলে নেওয়া সম্ভব নয়।” বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের ওই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম। তিনি বলেন, “দফতর থেকে কর্মী তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। কয়েক বার অভিযোগ জানিয়ে সমস্যা না-মেটায় সে দিন ওঁদের লাইন দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউকে তুলে নিয়ে গেলে চা দোকানে বসানো হত!”

অধ্যক্ষ ঘেরাও রায়গঞ্জ কলেজে
ছবি: তরুণ দেবনাথ।
স্নাতক স্তরে আবেদনকারী সমস্ত পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে প্রায় ৪ ঘন্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন আবেদনকারী পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের একাংশও। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ওই ঘেরাও বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঠিক হয়েছে আগামী ২৮ জুলাই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কলেজের উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ভর্তি সমস্যার সমাধানেউপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ বলেন, “আসন সংখ্যার অভাবে আবেদনকারী সমস্ত পড়ুয়াকে স্নাতক স্তরে ভর্তি সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। পাসকোর্সে নয়া সেকশন খোলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।” ১০ জুলাই এই দাবিতে শত্রুঘ্নবাবুকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান আবেদনকারীরা।

প্রতীকী অনশন
চোপড়ায় কলেজের দাবিতে এক দিনের প্রতীকী অনশন করল বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার চোপড়ার নাগরিক কমিটির উদ্যোগে বিডিও অফিসে ওই কর্মসূচি হয়েছে। এদিন বিডিওকেও স্মারকলিপি দেয় ছাত্রছাত্রীরা। চোপড়ার বিডিও অতনু কুমার মণ্ডল বলেন, “এলাকাতে জমি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। সম্প্রতি সেটা মিটলেও বর্তমানে কিছু টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনুমোদনের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রক্রিয়া চলছে।” চোপড়া নাগরিক কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, ৭ বছর ধরে কলেজ তৈরির চেষ্টা চলছে। কোনও সময় অনুমোদনের ফর্ম না পাঠানো, নির্দিষ্ট টাকা না ওঠার সমস্যায় কলেজ তৈরি করা যায়নি। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুসতাক আলম বলেন, “আমরা চাই দ্রুত কলেজ তৈরির কাজ শুরু হোক। রাজনীতি ভুলে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার ডাক দেওয়া হয়েছে।”

কলেজে উত্তেজনা
কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফর্ম জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডালখোলার শ্রীঅগ্রসেন কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। কলেজ সূত্রের খবর, এক ছাত্রের বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি তাড়াতাড়ি ফর্ম দেওয়ার আবেদন জানান। অধ্যক্ষ তা অনুমোদন করলেও কাউন্টারের কর্মীরা তাঁকে পরে আসার জন্য বলেন। সেই থেকেই গোলমাল শুরু হয়। ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সেই সময় কর্মীরা কাজ না করার কথা বললে অধ্যক্ষের ঘরের কাঁচের দরজা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। ফর্ম জমা নেওয়া প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়িতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কর্মীদের অনেক রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। এদিন ফর্ম নিয়েই কাউন্টারের এক কর্মীর সঙ্গে গোলমাল বাঁধে। একদল উত্তেজিত ছাত্র ভাঙচুর করে।” ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিদিন লাইনে দাঁড়ানোর পর চিরকুট দেওয়া হয়। পরেরদিন গিয়ে ফের লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। দুই বার করে একই কাজ করতে হচ্ছে। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহনলাল দাস বলেন, “আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। কিন্তু ভাঙচুর করিনি। ওই ছাত্রের বাবা অসুস্থ থাকার পরেও তাকে ফের কালকে আসতে বলা হয়। তা নিয়ে ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।”

মনমোহনকে চিঠি
উত্তরবঙ্গের তিন জেলার উদ্বেগজনক বন্যা পরিস্থিতির কথা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে জানালেন জলপাইগুড়ির সিপিএম সাংসদ মহেন্দ্রকুমার রায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দুর্গত এলাকায় পাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানালেন। বৃহস্পতিবার লেখা চিঠিতে সাংসদ জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, রেতি সুকৃতি, ডায়না, কুচিডায়না, করলা ফুঁসে উঠেছে। মহানন্দা ব্যারেজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বিপন্ন হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ও বানারহাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। এমনকী জলপাইগুড়ি জেলা সদরের পরিস্থিতিও খারাপ। হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে পড়ে আছে। সেখানে খাবার, ওষুধ, পলিথিন সহ অন্য ত্রাণ সামগ্রীর সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই দুর্গত মানুষদের জন্য দ্রুত কেন্দ্রীয় সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে।

খুন করে ফেরার
প্রতিবেশীর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সকালে দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিমল বর্মন (৩০)। তাঁর বাড়ি পুটিমারি এলাকায়। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে খুনের মামলা শুরু করে অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

মালদহে প্রতিনিধিদল
আজ শুক্রবার মালদহে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন প্রতিনিধিরা আসছেন। তাঁরা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগ পরিদশর্ন করবেন, হামিদপুর নদীচর এলাকায় যাবেন। শিশুদের অবস্থা সম্পর্কেও তাঁরা বিশদে খোঁজখবর নেবেন।

জলবন্দি
টানা বৃষ্টিতে চোপড়ার ব্লক পাড়া, থানা কলোনি-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কারও বাড়ির উঠোনে হাঁটু অবধি জল। কারও ঘরে জল ঢুকেছে। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপাল সিংহ বলেন, “প্রতিবছরই বর্ষার আগে নালা পরিষ্কারের ব্যবস্থা হয়। এ বছর সেই ভাবে কাজ হয়নি। বিডিও দফতর থেকে সহযোগিতা পেলে ভাল হত।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.