নির্মীয়মাণ স্কুল ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে দিয়ে স্কুলে তালা দিলেন অভিভাবক ও বাসিন্দাদের একাংশ। মালদহের রতুয়ার শ্রীপুর জিএসএ হাই মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। নিম্নমানের সিমেন্ট, রড ব্যবহার করায় স্কুল ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্য়ন্ত মাদ্রাসার তালা খোলা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ ৮ লক্ষ টাকায় স্কুলের ৪টি ভবনের কাজ চলছিল। স্কুল সূত্রে জানা যায়, সর্ব শিক্ষা মিশনের বরাদ্দ টাকায় দোতালায় ৪টি ভবন তৈরির কাজ চলছে। বুধবার বিকালে ওই ভবনের ১৩০ ফুট অংশ ভেঙে পড়ে বলে অভিযোগ। এদিন তা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবক-বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় হাটবার থাকায় সকালেই মাদ্রাসার পঠন-পাঠন হয়। সকালে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার পর স্কুলে হাজির হন কয়েকশো বাসিন্দা। প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষককে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার কথা জেনে এদিনই প্রধান শিক্ষককে জরুরি তলব করেন সর্ব শিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক চিন্ময় সরকার। তিনি বলেন, “বাসিন্দারা নিম্নমানের কাজের যে অভিযোগ তুলেছেন তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও স্কুলে তালা ঝোলানো ঠিক নয়। জোর করে কেউ স্কুল বন্ধ করতে চাইলে পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে।” স্কুল ও সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জন্য নির্মীয়মান কাজের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটা ফের নতুন করে করার জন্য তা বুধবার মিস্ত্রিরা নিজেই ভাঙতে শুরু করে। মিস্ত্রির ভুলে আরও বিরাট অংশ ধসে পড়ে বলে অভিযোগ। |