জলকর বৃদ্ধি, জলের দলে পুরসভার সম্পত্তি বিক্রি সহ একাধিক অনিয়মের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার পুরসভা দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত ঘেরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামফ্রন্ট। এদিন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভা ঘেরাও করে পুরসভার বামফ্রন্টের কাউন্সিলর ও কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের শুভদীপ সান্যাল বলেন, “বাম আমলে জলের সংযোগ নিতে গেলে পুর নাগরিগদের ৮০০ টাকা জমা দিতে হতে। এখন তা বাড়িয়ে ১৩৫০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি জলের সংযোগ নেওয়ার সময় অতিরিক্ত শ্রমিকদের খরচ হিসেবে এক হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জলকর নেওয়ার বিরোধিতা করছেন। অথচ ইংরেজবাজার পুরসভা এখনও শহরে পুরসভা পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ না করেই জলকর দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।” পাশাপাশি বতর্মান পুরসভার চেয়ারম্যান জলের দরে পুরসভার সম্পত্তি প্রোমোটারদের বিক্রি করছেন বলেও শুভদীপবাবুদের অভিযোগ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে ভাষণ দেন সিপিএমের ইংরেজবাজার জেনাল কমিটির সম্পাদক দুলালনন্দন চাকী, আরএসপি নেতা দুন্দুভি সাহা, বাম কাউন্সিলার নীহার ঘোষ। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আজ যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরাই তো ইংরেজবাজার পুরসভাকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। আজকে এখানে বামেরা জলকরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, অথচ ওঁদেরই দখলে থাকা পুরাতন মালদহ পুরসভা যখন জলকর নিচ্ছে তখন কেন ওরা কিছু বলছেন না? আসলে ওরা দ্বিচারিতা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি জলকর নেওয়া বন্ধে কোন নির্দেশ জারি করতেন, তবে অবশ্যই আমি পুরসভায় জলকর নেওয়া বন্ধ করে দিতাম।” চেয়ারম্যান জানান, তিনি শহরের পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ আদায় করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি শহরের কোথায় কতটা উন্নয়ন করেছি তা শহরের মানুষই বিচার করবেন।” |