কোথাও নদীর স্পার বাঁধ ভেঙেছে। কোথাও আরএলআই সেন্টার নদী গর্ভে তলিয়েছে। নদী ভাঙনের জেরে কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তার উপরে ফের বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করায় প্রশাসনের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়ডাক, কালজানি সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “নদী ভাঙনে জেলার কিছু এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বিডিও’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বলরামপুরে কালজানি, তোর্সা ও ঘরঘরিয়া নদী মিশেছে। |
বৃহস্পতিবার সকালে ওই তিনটি নদীর মিলিত জলের স্রোতে বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় তিনশো মিটার স্পার বাঁধ ভেঙেছে। দাসপাড়া, শোলধুবুরির কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভাঙনে নদী গর্ভে তলিয়েছে ৫ বিঘা চাষের জমি। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও তাপস সিংহরায় বলেন, “তারজালি ও পাথর দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর যে কাজ করা হয়েছিল সেটা ভেসে গিয়েছে। বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে।
আপাতত চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু জল বাড়লে সমস্যা হতে পারে।” ব্লকের ঘোগারকুঠিতে গদাধরের ভাঙনে বেশ কিছু এলাকা নদী গর্ভে তলিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গদাধর সেতু লাগোয়া এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপন্ন হতে পারে। অন্য দিকে কোচবিহার-১ ব্লকের ডাউয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তল্লিগুড়ি এলাকায় ঘরঘরিয়া নদী ভাঙনে নদী ও আরএলআই সেন্টারের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ ফুট। |
ভাঙন কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
কয়েক বছর আগে নদী ও ওই আরএলআই সেন্টারের দূরত্ব ছিল ৭০ মিটার। ক্রমাগত ভাঙনে প্রশাসন বা সেচ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাঙন ঠেকানোর দাবিতে বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের দফতর এবং সেচ দফতরে স্মারকলিপি দেন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জল বাড়তে শুরু করায় মেখলিগঞ্জে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কুচলিবাড়ি ও নিজতরফে সতর্কতায় মাইকে প্রচার করা হয়েছে। বিডিও সপ্তর্ষি নাগ বলেন, “কালজানি ও রায়ডাকের জল বাড়তে শুরু করায় তুফানগঞ্জে, মানসাইয়ে হলুদ সঙ্কেত, মাথাভাঙার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” |