গত ২৪ ঘন্টায় ফুলহারের জলস্তর সামান্য কমলেও ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার নদীর জলস্তর কমলেও এখনও অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদ সীমার উপর দিয়েই বইছে। সংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার নিচে রয়েছে ফুলহার। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার ৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের জলবন্দি দশা ঘোচেনি। পাশাপাশি জল কমতে থাকায় রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরে শুরু হয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন। সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, এদিন দুপুরে নদীর জলস্তর দাঁড়িয়েছে ২৭.৬০ মিটারে। যা বুধবারের তুলনায় ২২ সেন্টিমিটার। মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা বলেন, “ফুলহারে জল কমছে। কোথাও কোনও ভাঙনের খবর নেই।” যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলপুর, লক্ষীপুর ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্মশানঘাট এলাকায়। কমলপুরে ১০ বিঘারও বেশি জমি ও ২০টি আমগাছ নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। |
কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস শুকুল বলেছেন, “কমলপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক বিঘা জমি সহ আমগাছ ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়েছে। বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মিহাহাট, খিদিরপুর, পয়খানা মোড় এলাকাতেও চলছে ভাঙন। পয়খানা মোড়ে বাঁধের গোড়ায় জল এসে পড়ায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাঁশের খাঁচায় বোল্ডার ভরে ভাঙন রোধের কাজ করা হয়েছিল। জলের তোড়ে তলিয়ে গিয়েছে। বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে বাসিন্দাদের। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী সিপিএম দলনেতা সুধীর যাদব বলেন, “জল কমলে ভাঙন শুরু হওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত।” |