ভাড়া বৃদ্ধি চেয়ে বাস ধর্মঘটের ডাক ৩১শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ট্যাক্সির পরে বাস। একই মাসে প্রায় পরপর দু’টি যান-ধর্মঘট। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ৩১ জুলাই রাজ্যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বেসরকারি বাস-মালিকদের দু’টি মূল সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির কর্তারা বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেন। ভাড়া বৃদ্ধি-সহ কয়েকটি দাবিতে ২৫-২৬ জুলাই ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রেখেছে ট্যাক্সি-মালিকদের কিছু সংগঠন।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের নেতারা এ দিন অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের অগস্টে শেষ বার যাত্রী-ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তার পরে অন্তত আট বার দাম বেড়েছে ডিজেলের। দাম বেড়েছে যন্ত্রাংশের। বাস চালানোর আনুষঙ্গিক নানান খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সরকার ভাড়া না-বাড়ানোয় বাসের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। এর জেরে বিভিন্ন রুটের ৩০ শতাংশ বাসই বসে গিয়েছে। জেএনএনইউআরএম বা নেহরু মিশন প্রকল্পে বিভিন্ন অঞ্চলে ৬৩৭টি বাস নামানো হয়েছিল। তার অর্ধেকের বেশি বাস বসে গিয়েছে।
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য বলেন, “এই মুহূর্তে ধর্মঘট বাঞ্ছনীয় নয়। মানুষের হয়রানির কথা ভেবে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ জানাব। সামনে রমজান মাস। সেটাও মাথায় রাখা উচিত।” মন্ত্রীর বক্তব্য, ২৩ জুলাই বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি সংগঠনগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা হবে। বাস-মালিকদের যাতে ক্ষতি না-হয়, তার উপায় বার করতে চায় রাজ্য। ভাড়া বাড়ানোই তার একমাত্র পথ নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বাস-মালিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন জেলায় তাঁদের শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার পরেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতরের কাছে আরও কয়েকটি দাবি জানিয়েছে তাঁদের সংগঠন। তার মধ্যে আছে ‘পুলিশি জুলুম’ বন্ধ করা, পর্যাপ্ত খুচরো পয়সা সরবরাহের ব্যবস্থা করা, বাণিজ্যিক পারমিট ছাড়া বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ করা প্রভৃতি। এই সব দাবি-সহ ফের তারা রাজ্য সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেবে বলে জানিয়েছে বাস-মালিক সংগঠন। |