মিষ্টির গুণমান যাচাইয়ে রাজ্যকে ল্যাব গড়ার আর্জি |
বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্নের গুণমান নির্ধারণে ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এ বার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। খাবারের গুণমান সুনিশ্চিত করতে নতুন কেন্দ্রীয় আইনেই এই ল্যাবরেটরি তৈরির কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, দুধ-ছানার মান থেকে শুরু করে মিষ্টির দোকানের পরিবেশ সব কিছুই আমূল পাল্টে ফেলতে হবে। এই ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি ইতিমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নতুন কেন্দ্রীয় আইনের আওতায় নথিভুক্তির জন্য রাজ্যের সব মিষ্টির দোকানকে আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষ বা পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নতুন আইনের বেশ কয়েকটি দিক নিয়ে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের আপত্তি রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মিষ্টির মান নিয়ে নানা কড়াকড়ি চালু করা হলেও দুধ-ছানা বা জলের মান রক্ষার ব্যাপারটা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কলকাতার সন্দীপ সেন থেকে বহরমপুরের সাধন ঘোষ সব মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর প্রশ্ন, মিষ্টি তৈরিতে তো পুরসভার সরবরাহ করা জলই ব্যবহার করা হচ্ছে। তা হলে সেই জলের মান ঠিক কি না, তা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের যাচাই করতে হবে কেন? সমিতির প্রস্তাব, রাজ্য সরকার বিভিন্ন এলাকার জন্য মিষ্টির মান যাচাইয়ে ল্যাবরেটরি তৈরি করুক। ছোটখাটো মিষ্টির দোকানের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের রেখে কোনও ভাবেই এই কাজ করা সম্ভব নয়। এই সব সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত সমিতিকে সময় দেননি বলে সমিতির প্রতিনিধিরা জানান।
|
সেপ্টেম্বরে মহামিছিল করতে চায় বামেরা |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরো দমে প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে বামফ্রন্ট। সে কারণেই সেপ্টেম্বরের প্রথামাফিক ‘সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী মিছিল’কে এ বার ‘মহামিছিলে’ পরিণত করতে চায় তারা। পঞ্চায়েতের উপরে আমলাতন্ত্র চাপানোর প্রতিবাদে ওই মাসেই পঞ্চায়েতের নানা স্তরের প্রতিনিধিদের এনে রাজভবনে দরবার করার পরিকল্পনা নিয়েছে ফ্রন্ট। সিপিএমের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়েছে সেপ্টেম্বরেই। বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিনে বামফ্রন্টের বৈঠকে অদূর ভবিষ্যতের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার সময় শরিক নেতৃত্বের একাংশ দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে ভাবে ভারতের নীতির উপরে চাপ সৃষ্টি করছেন, তা নিয়ে বামেদের জোরালো প্রতিবাদ করা উচিত। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সম্মত হন। প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বরের সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী মিছিলকেই এ বার অনেক বড় আকারে করার পরিকল্পনা চালাচ্ছিল আলিমুদ্দিন। তার সঙ্গেই মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গটি জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা বিলের প্রতিবাদে জুলাইয়ের শেষ এবং অগস্টের গোড়ায় দিল্লিতে ধর্না-অবস্থানের কর্মসূচি রয়েছে বামেদের। ওই অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়কদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রন্টের।
|
বীরভূম-বর্ধমান যাচ্ছেন মমতা |
জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে উন্নয়নের কাজকর্ম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বার বীরভূম ও বর্ধমানে যাচ্ছেন। মহাকরণ সূত্রের খবর, ২৭ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে জেলা ও পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরের দিন বৈঠক করবেন বর্ধমানে। এ মাসে উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
|
সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির জেলা সম্মেলন হল তমলুকের মহেন্দ্র স্মৃতিসদনে। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক অশোকতরু প্রধান, জেলা সভাপতি জয়মোহন পাল ও রাজ্য সহ-সভাপতি অনুকূল ভদ্র। |