গোলকিপার কোচ নিয়ে সমস্যা এখনও মেটেনি ইস্টবেঙ্গলে। এর মধ্যেই এক আইরিশ বিশ্বকাপারকে সহকারী কোচ চাইলেন লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান। যিনি চেলসিতে খেলেছেন খুলিট, ভিয়ালি, জোলাদের সঙ্গে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে খেলেছেন একশোর বেশি ম্যাচ।
নাম টেরি ফেলান। আশির দশকের শেষ থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত চুটিয়ে খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। চেলসি-ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পাশাপাশি খেলেছেন উইম্বলডনে। এবং তাদের হয়ে এফ এ কাপও জিতেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গল মাঠে, মর্গ্যানের অনুশীলন দেখতে। কলকাতায় এই প্রথম হলেও, ভারতে আছেন কয়েক বছর। সেসা গোয়ায় কোচ ছিলেন। টেরি ফেলান বলছিলেন, “সেসা-র সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় এ মরসুমে আর চুক্তি করিনি। ট্রেভর আমার অনেক দিনের চেনা, ওর ডাকেই কলকাতায় এলাম।” তবে টেরি-র জন্য প্রতি মাসে ইস্টবেঙ্গলের ব্যয় হবে ১০-১২ লক্ষ টাকা। তাই খুব উৎসাহী নন ক্লাব কর্তারা। অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে, অতনু ভট্টাচার্যের ব্যাপারে ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত নাকি রাজি আছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাকি ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই নেবেন।
অনুশীলন শেষে মর্গ্যানও জানালেন সে কথা। তাঁর বক্তব্য, “আমি টেরি-কে সহকারী হিসাবে চেয়েছি। এখন অ্যালভিটো পুরোপুরি চোটমুক্ত। তাই খেলাতেই মন দিয়েছে। আমি যখন এক দল ফুটবলারকে নিয়ে প্র্যাক্টিস করাচ্ছি, তখন একা রঞ্জনের পক্ষে বাকি সব ফুটবলারকে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।” মর্গ্যান এ কথা জানিয়েছেন ক্লাব কর্তাদের কাছেও। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “ক্লাব প্রেসিডেন্ট, সচিব এবং ইউ বি গ্রুপের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ, আর্থিক দিকটাও তো দেখতে হবে।” ফেলান ’৯৪ বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ফুটবলার হিসাবে বেশ পরিচিত হলেও কোচ হিসাবে খুব বড় বায়োডাটা নেই টেরি-র। তাই দেখার, ইস্টবেঙ্গল এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে বাঁ হাতের কনুইয়ে চোট পেলেন গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডল। একটি বল বাঁচিয়ে মাটিতে পড়ার সময় কনুইয়ে লাগে তাঁর। তবে চোট খুব গুরুতর নয়। আর পেন ওরজি ক্লাবের বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দলের আর এক মিডফিল্ডারঅধিনায়ক সঞ্জু প্রধান। বলেন, “আগের বছর মেহতাব এই পুরস্কার পেয়েছিল। এ বার পেন। এর থেকেই বোঝা যায়, মাঝমাঠ-ই ইস্টবেঙ্গলের প্রাণ।” |