ট্রেনিং নিতে গিয়ে জার্মানি বা ইউরোপের কোনও ক্লাবে সুযোগ পেলে কি চুক্তিবদ্ধ হতে পারবেন সুব্রত পাল? তাঁর ক্লাব প্রয়াগ ইউনাইটেড কি চুক্তি ভেঙে ছাড়বে তাঁকে?
আজ শুক্রবার দু’সপ্তাহের ট্রেনিং নিতে জার্মানির বিমানে উঠবেন সুব্রত। তার চব্বিশ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েই গেল ক্লাবের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে। দেশের এক নম্বর গোলকিপার নিজে বললেন, “বিদেশে সুযোগ পেলে ছাড়তে হবে চুক্তিতে আছে। আশা করি সুযোগ পেলে আমার ক্লাব আমাকে ছাড়বে।” প্রয়াগ কর্তা নবাব ভট্টাচার্য অবশ্য বললেন, “ছাড়তেই হবে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা চুক্তিতে নেই। ও দু’সপ্তাহের ছুটি নিয়েছে। আগে সুযোগ পাক, তারপর তো ছাড়ার ভাবনা।” ছাড়া না ছাড়া নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ট্রায়াল নয়, ট্রেনিং নিতেই যাচ্ছেন সুব্রত। “আগে ট্রেনিং, তার পর তো ট্রায়াল।” বললেন সুব্রতও। |
বিদেশে খেলতে যাওয়ার জন্য মরিয়া সুব্রত এখন অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতেই চাইছেন না। এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার এফ সি-তে ট্রায়াল দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দলে বিদেশির কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ দিন অবশ্য ‘এশিয়ার স্পাইডারম্যান’ বললেন, “জার্মানি আমার প্রিয় দল। ডিভিশন কোনও ব্যাপার নয়। জার্মানিতে যেখানেই সুযোগ পাব খেলতে রাজি।” সুব্রত যাচ্ছেন জার্মানির চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব আর পি লিপজিগে ট্রেনিং ও ট্রায়াল দিতে। সুব্রতর স্পনসর রেডবুল এই ক্লাবটিকে নিয়েছে। জার্মানি ছাড়াও যুক্তরাস্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, ঘানা-সহ মোট ছয়টি দেশে ক্লাব কিনেছে শক্তিবর্ধক পানীয় সংস্থা রেডবুল। সুব্রতকে কোচেদের পছন্দ হলে এর যে কোনও একটি ক্লাবে খেলার সুযোগ পেতে পারেন তিনি। আজ থেকে প্রয়াগের অনুশীলন শুরু হচ্ছে। সেখানে অবশ্য মাসখানেক অনুশীলনে নামার সম্ভাবনা নেই। সুব্রত ৫ অগস্ট জার্মানি থেকে কলকাতায় ফিরে নেহরু কাপের শিবিরে চলে যাবেন। বললেন, “সুযোগ পেলে আগামী এক বছরের মধ্যে ওরা যে কোনও সময় ডাকতে পারে। ইউরোপে খেলার সুযোগ পেলে আমি তা নেবই। এটা আমার স্বপ্ন। জার্মানিতে কার সঙ্গে দেখা হবে জানি না। তবে আমার আদর্শ খেলোয়াড় অলিভার কানের সঙ্গে দেখা হলে স্বপ্ন সফল হবে।” |