তিনি পুরুষ না নারী, তা নিয়ে তর্ক উঠেছিল। বাংলার পিঙ্কি প্রামাণিকের মতো তাঁকেও লিঙ্গ পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু পিঙ্কিকে যেখানে বার বার লজ্জায় ফেলা হয়েছে, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮০০ মিটারের প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে বিশেষ সম্মান দিল তাঁর দেশ। জানিয়ে দেওয়া হল, অলিম্পিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকাবাহক হবেন ক্যাস্টার সেমেনেয়া। সেমেনেয়াকে নিয়ে বিতর্ক শুরু ২০০৯ সালে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা
সেমেনেয়া: নতুন সম্মান |
জেতার পর। ওর পরই ২১ বছরের সেমেনেয়া ছেলে না মেয়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন তারপর সেমেনেয়ার লিঙ্গ নির্ধারনের জন্য বিশেষ পরীক্ষারও ব্যবস্থা করে। সেমেনেয়ার উপর এক বছর নিষেধাজ্ঞাও ছিল। ২০১০ সালে তাঁর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। যদিও লিঙ্গ পরীক্ষার ফল সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে নানা জায়গা থেকে বলা হয়েছিল সেমেনেয়া উভলিঙ্গ। সেমেনেয়াকে পতাকাবাহক করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার অলিম্পিক কমিটির প্রধান বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার যাবতীয় ক্রীড়াবিদ এবং মেয়েদের কাছে সেমেনেয়া এক জন রোল মডেল। চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ও যে ভাবে লড়াই করেছে, তা সবার কাছে একটা দারুণ উদাহরণ হয়ে থাকবে।” |