স্বপ্ন দেখাচ্ছেন টাইসন-ভক্ত ‘বাচ্চা’
ছোটবেলায় একটা সময় ভেবেছিলেন অ্যাথলিট হবেন। তারপরে ইচ্ছা হয়েছিল ফুটবলার হওয়ার। কিন্তু মাইক টাইসনকে টিভিতে দেখার পর সব ছেড়ে বক্সিং গ্লাভস হাতে তুলে নেন। ভাগ্যিস নিয়েছিলেন। লন্ডন অলিম্পিক থেকে বক্সিংয়ে পদক আনার ব্যাপারে এখন ভারতকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অসমের ১৮ বছর বয়সি শিবা থাপা। গত বছরই জুনিয়র থেকে সিনিয়র ইভেন্টে নামার ছাড়পত্র পেয়েছেন শিবা। এবং প্রথম সুযোগেই সবাইকে চমকে দেন তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে। গত বছর এপ্রিলে এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারে সোনা জিতে অলিম্পিক টিকিট পান শিবা। ৫৬ কিলো বিভাগ থেকে শিবা একটা পদক নিয়ে আসতে পারবেন, এই আশা করছেন কোচেরা। “মাইক টাইসনের বক্সিং দেখার পর আমি ঠিক করি বক্সিংটাই করব। কী ক্যারিশমা। কী স্টাইল। এখন বুঝতে পারছি, বক্সিং করার সিদ্ধান্তটা ঠিকই নিয়েছিলাম। এখন আমাকে শুধু পরিশ্রমটা করে যেতে হবে, ফল ঠিকই পাওয়া যাবে,” বলছিলেন শিবা।
লন্ডন রওনা হওয়ার আগে শিবা।
ভারতের আট সদস্যের বক্সিং টিমে তিনি সব দিক দিয়েই ‘বাচ্চা’। কিন্তু সেই ‘বাচ্চা’ যে কতটা ভয়ডরহীন, তা ফুটে ওঠে শিবার কথায়, “হ্যাঁ, অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়াটা অবশ্যই আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু স্বপ্নটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। অলিম্পিকের পদক না জিতলে আর কী হল। মজাটা তো পদক জিতলেই হবে। লোকে পদকজয়ীদের মনে রাখে, কে অলিম্পিকে যোগ্যতা পেল, সেটা নয়।”
বাবা পদম থাপা ক্যারাটেতে নাম করেছিলেন এবং স্বপ্ন দেখতেন তাঁর ছেলে এক দিন অলিম্পিকে যাবে। ছেলে অলিম্পিকে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য কম আত্মত্যাগ করতে হচ্ছে না শিবাকে। নিজের উঠে আসা নিয়ে শিবা বলছিলেন, “মাসের পর মাস আমার সঙ্গে পরিবারের কারওর দেখা হয় না। ছোটবেলায় আমার সময়টা কেটেছে পুণের আর্মি স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে। তার পরে সিনিয়র পর্যায়ে উঠে আসার পর এখন আমি পাতিয়ালায় বেশির ভাগ সময় থাকি। বাড়ির লোক জনের সঙ্গে হয়তো ন’মাসে ছ’মাসে একবার দেখা হল।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.