কখনও ঝোড়ো হাওয়া আর তুমুল বৃষ্টি, কখনও চড়া রোদ। লন্ডনের খামখেয়ালিপনায় ভরা আবহাওয়ার মধ্যে অলিম্পিক অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল ভারতের। লর্ডসে প্র্যাক্টিস শুরু করে দিল তিরন্দাজ-বাহিনী। শু্যটাররা চলে গেলেন রেঞ্জে আর ভারোত্তলকদের দেখা গেল এক্সেল স্টেডিয়ামে।
লন্ডন যাওয়ার আগে দীপিকা কুমারী-রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলে গিয়েছিলেন, তিরন্দাজিতে ভাল করতে গেলে লন্ডনের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা ভীষণ জরুরি। সেই মানিয়ে নেওয়ার কাজটা তাঁরা শুরু করে দিয়েছেন লর্ডসে। একই সমস্যায় পড়তে হতে পারে শু্যটারদেরও। জয়দীপ কর্মকার, রঞ্জন সোধী, সঞ্জীব রাজপুতরা এসে গিয়েছেন এখানে। প্র্যাক্টিসও শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। তবু যেন কিছুটা ভাগ্যের উপর নির্ভর হয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। সম্ভাব্য পদকজয়ীদের মধ্যে যাঁদের নাম রয়েছে, রঞ্জন সোধী তাঁদের মধ্যে উপরের দিকেই থাকবেন। সেই সোধী বলেছেন, “আমি অনেক দিন ধরেই শু্যটিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, বিশ্বকাপ জিতেছি। আমি জানি কী ভাবে কী হয়। আপনি বিশ্বের সেরা শু্যটার হতে পারেন, কিন্তু ওই বিশেষ দিনটায় আপনার কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য দরকার হয়।” তবে ভাগ্যের সাহায্যের কথা বললেও পদক না পেলে কোনও অজুহাত দেবেন না সোধী। বলেই দিচ্ছেন, “তবে সবাইকে সমান সমস্যায় পড়তে হবে। তাই অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই।” |
লন্ডন গেমস ভিলেজে অভিজ্ঞতা আপাতত কেমন? সোধী বলছেন, “প্রাথমিক উত্তেজনাটা থিতিয়ে এসেছে। এখন আমি অনেকটা রিল্যাক্সড। তা ছাড়া বিশ্বের সেরা সব ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, এই অভিজ্ঞতাটাও দারুণ। আমি প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছি।” এক দিকে যখন সোধী এ কথা বলছেন তখন আত্মবিশ্বীসা শোনাচ্ছে ভারোত্তোলক কোচকেও। দেবীদত্ত শর্মা পরিষ্কার বলছেন, “আমি বড় বড় কথা বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব, অলিম্পিকে ভিড় বাড়াতে আসিনি আমরা।”
সব মিলিয়ে অলিম্পিক শুরুর এক সপ্তাহ আগে কিন্তু যথেষ্ট চনমনে দেখাচ্ছে ভারতীয় শিবিরে। |