|
|
|
|
কর্মী-অফিসার বচসা, ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাজিরা নিয়ে এক অফিসার ও কর্মীদের মধ্যে বচসার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় খড়্গপুরে রেলের ডিজেল লোকো শেডে। কর্মীরা ওই অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, রজনীশ সিংহ নামে ওই অফিসার সুকান্ত মল্লিক নামে তাঁদের এক সহকর্মীকে অন্যায় ভাবে মারধর করেছেন। আহত অবস্থায় তাঁকে খড়্গপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খড়্গপুরের ডিআরএম রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ বলেন, “বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
এ দিন সকালে সিনিয়র ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিজেল) রজনীশ সিংহের সঙ্গে কিছু কর্মীর বচসা বাধে। কর্মীদের হাজিরার হিসেব রাখতে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, যন্ত্রে গোলযোগ রয়েছে। তাই যাদের গরহাজির বলে দেখানো হচ্ছে, জবকার্ডে তাদের সই থাকছে। এ দিন সকালে কয়েকজন কর্মী এ নিয়ে স্মারকলিপি দিতে যান অফিস সুপারের কাছে। নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন- এর (খড়্গপুর) ওপেন লাইন ব্রাঞ্চ- ১ এর সম্পাদক মানিকচন্দ্র দে, সহ- সম্পাদক সুকান্ত মল্লিক। এই সময় ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একটি বিভাগে ঢুকে পড়েন। সেখানে কাজ করেন সুকান্তবাবু। সেখানে সুকান্তবাবুকে ওই অফিসার মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার মাথায় আঘাত করা হয়। দু’পক্ষে বচসা বাধে। সাড়ে ১১ টা নাগাদ আসে পুলিশ। অফিসারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ তখন চলছে। পরে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ওই অফিসারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের অবশ্য দাবি, তিনি কাউকে মারধর করেননি। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই ওই অফিসারের সঙ্গে কর্মীদের মতানৈক্য দেখা দেয়। কর্মীদের অভিযোগ, ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেন। লাইন ব্রাঞ্চ- ১ এর সম্পাদক মানিকচন্দ্র দে বলেন,“মেশিনে যান্ত্রিক গোলযোগ রয়েছে। না- হলে কেউ কাজ করলেও তাঁকে গরহাজির দেখানো হয় কী ভাবে? আমরা আলোচনায় সমাধান চেয়েছিলাম। উনি অন্যায় ভাবে এক সহকর্মীকে মারধর করেছেন।” খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। |
|
|
|
|
|