টুকরো খবর
নদী পেরোতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু
কাঁসাই পেরোতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। নাম সুনীল ধাড়া (৩৬)। বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের জাগুলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্থানীয় ডুবুরিদের নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধে নাগাদ তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বক্তব্য, নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলায় নদীখাত জুড়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তাতেই এই ধরনের বিপদ হচ্ছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কোতয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুনীল ধাড়া স্থানীয় বালি খাদানে কাজ করতেন। বুধবার বিকেলে জাগুল থেকে প্যালাগেড়িয়া যাচ্ছিলেন। কাঁসাইয়ের দু’দিকে এই দুই এলাকা। আর ফেরেননি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নদী পেরোতে গিয়েই তলিয়ে গিয়েছেন সুনীল। বাড়ি না ফেরায় সন্ধ্যার খোঁজ শুরু করেন পরিজনেরা। পরে নদীর সামনে থেকে সুনীলের সাইকেলটি উদ্ধার হয়। কাঁসাই নদীর আশপাশ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ বহু দিনের। রেলসেতুর কাছ থেকে যেমন বালি তোলা হয়, তেমন গাঁধীঘাট থেকেও বালি তোলা হয়। প্রতিদিন বড় বড় লরি, মিনি ট্রাক, ম্যাটাডোর বোঝাই বালি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। প্রশাসনিক কর্তাদের নাকের ডগায় এই কাণ্ড চললেও কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না বলে অভিযোগ। এর ফলে সরকারও তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। বালি তোলার জন্য ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি লাগে। রাজস্ব দিতে হয়। দফতর থেকে বালি তোলার জন্য নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করা থাকে। কিন্তু তার বাইরেও বালি তোলা হয়। কয়েক মাস আগে কাঁসাই রেলসেতুর কাছে পালবাড়িতে এ ভাবেই তলিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

সুষ্ঠু নিকাশির দাবি সিপিএমের
নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে সই সংগ্রহ অভিযানে নামল সিপিএম। সই সংগ্রহ করে স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। বর্তমানে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে পুরোদমে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ছাড়াই সেই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে খড়্গপুর, ডেবরা থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চরম সমস্যায় পড়বে বলে আশঙ্কা। সিপিএমের দাবি, ডেবরা ১, ২, রাধামোহনপুর ১ ও ষাঁড়পুর-লোয়াদাএই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাবেন। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকাটি প্লাবিত হবে। কারণ, জল বেরোনোর কোনও নালা নেই। যে নালা ছিল, তা জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্র্তৃপক্ষের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে সিপিএমের অভিযোগ। তাই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর গোচরে আনতে বৃহস্পতিবার ডেবরার আষাড়িতে সই সংগ্রহ অভিযান হয়। সিপিএমের ডেবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “নিকাশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা না করেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে। ফলে, বৃষ্টি হলেই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি তাতে জাতীয় সড়ক বিভাগের এ বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই স্থানীয় মানুষের সই সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।”

সংঘর্ষে জখম ৮
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় নারায়ণগড় থানার কাশীপুরের আহারমুণ্ডা গ্রামে। দু’পক্ষের ৮ জন জখম হন। গোড়ায় জখমদের বেলদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে কয়েকজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিপিএম-তৃণমূল দু’পক্ষই ঘটনার জন্য পরস্পরকে দুষছে। কাশীপুরের আহারমুণ্ডা গ্রামে আগেও দু’দলে গোলমাল হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন সকালে এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। মিছিল থেকে খেতমজুরদের উপর হামলা চালানো হয়। আহত সকলেই দলীয় কর্মী-সমর্থক। দলের বেলদা জোনাল সম্পাদক ভাস্কর দত্ত বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা মিছিল থেকে হামলা চালান।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি সূর্য অট্টের বক্তব্য, “অঞ্চল সভাপতি সৈদুল রহমান ওই গ্রামে গিয়ে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তখনই তাঁকে মারধর করা হয়।” তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম নতুন করে এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দু’পক্ষই নারায়ণগড় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এক হকারের মৃত্যু হল। মৃত রাম বেরার (৩৫) বাড়ি খড়্গপুরে। বৃহষ্পতিবার সকালে ডাউন জনশতাব্দী এক্সপ্রেস থেকে পড়ে যান ওই হকার। বেলদা থানার কুলিগেড়িয়ার কাছে ঘটনা ঘটে। শুরুতে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বেলদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। এখানে তাঁর মৃত্যু হয়। অসাবধানতাবশতই ওই হকার চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.