কিশোরপুর-২
গরহাজির প্রধান, পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা
ফের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সিপিএম পরিচালিত খানাকুল-১ ব্লকের কিশোরপুর-২ পঞ্চায়েতে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গ্রামছাড়া রয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের রবিরঞ্জন পাত্র। মঙ্গলবার থেকে অফিস আসা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধান শিখা কারকও। তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছেন এক শ্রেণির মানুষ। উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। জব-কার্ডের খাতা ছিনিয়ে নিয়ে হেনস্থা করছেন। হুমকি-গালিগালাজ লেগেই রয়েছে।”
প্রধান কোনও দল বা ব্যক্তির নামে অভিযোগ করেননি। কিন্তু ঘটনা হল, উন্নয়নের কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত সোমবার পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অসিত গঙ্গোপাধ্যায়। স্থানীয় মানুষের একাংশের অভিযোগ, সে সময়ে বিক্ষোভকারীদের কয়েক জন প্রধানকে হেনস্থা করেন, হুমকিও দেন। পঞ্চায়েতের অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা বিডিও-র দ্বারস্থ হন। অসিতবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনার কথা প্রধান নিজে কিছু জানাননি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, “পঞ্চায়েতে অশান্তি করে কেউ উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটালে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিক কী ঘটেছে, কীসের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে প্রধানের সঙ্গেও কথা বলব।” গ্রামবাসীদের তরফে স্বপনকুমার হাজরা, বিকাশ সামন্ত, বংশী ভৌমিকরা বলেন, “আমরা উন্নয়নের কাজে কোনও রাজনীতি চাই না। আমরা চাই পঞ্চায়েত যাতে নিয়মিত চলে। উন্নয়ন যাতে স্তব্ধ না হয়। সেই কারণে বিডিওকে সমস্যার কথা জানিয়েছি।”
দু’দিন ধরে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। এর আগে প্রায় একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছি বিধানসভা ভোটের পরে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রধান, উপপ্রধান-সহ সদস্যেরা প্রায় মাস ছয়েক পঞ্চায়েতে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যাবতীয় পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিডিও এবং বিধায়কের হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটে। সোমবার প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মিত পঞ্চায়েতে আসা, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরি বিলিতে অনিয়ম, শংসাপত্র না দেওয়াএমনই নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অসিতবাবুর দাবি, “প্রধানকে হেনস্থা করা বা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাঁর কিছু অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি।” তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শিখাদেবী দাবি করেন, “উন্নয়নের কাজে কোনও অনিয়ম হচ্ছে না। মানুষ শংসাপত্র ঠিকমতোই পাচ্ছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.