মমতার একুশে জুলাই এ বার ‘উন্নয়নমুখী সভা’
দু’বছর আগে ২০১০ সালের ২১ জুলাই ছিল ‘শহিদ স্মরণে’ সমাবেশ। ২০১১-তে ‘বিজয়’ সমাবেশ। এ বার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে ‘ভবিষ্যতের উন্নয়নে’র লক্ষ্যে।
১৯৯৩ সালে তাঁর নেতৃত্বে ‘মহাকরণ অভিযানে’ পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ জন কর্মীর স্মৃতিতে ১৯৯৪ সাল থেকেই ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শহিদ দিবস’ পালন করেন। বাম শাসনের অবসানে তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাকে ‘উন্নয়নমুখী’ করা। বাংলাকে বাম ‘অপশাসনে’র হাত থেকে মুক্ত করা গিয়েছে। কিন্তু মমতার কথায়, “৩৪ বছরের বাম অপশাসনের ফলে পিছিয়ে পড়া রাজ্যকে আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে অনেক উন্নয়ন করতে হবে।” ঘনিষ্ঠদের কাছে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য তাঁদের আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করে এ বার ‘শহিদ দিবসে’র সঙ্গে তিনি জুড়তে চান উন্নয়নমূলক কাজকে। তাঁর যুক্তি, বহু মানুষের রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে তৃণমূলের সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেই সরকারকে নতুন বাংলা গড়ার কাজ করে দেখাতে হবে। সেই কারণে, শহিদ স্মরণ এবং রাজ্যের উন্নয়নের কাজ সমার্থক।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশে মমতার কাছে একটি ‘বাৎসরিক’ ঘটনা। শুধু মহাকরণ অভিযানের শহিদদেরই নয়, পরবর্তী সময়ে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের শহিদদেরও স্মরণ করা হয় ওই সমাবেশে। সাধারণত শহিদ দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের দিশা দেন। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, সামনে পঞ্চায়েত ভোট এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মমতা এ বারের সমাবেশ থেকেও দলের অবস্থান জানিয়ে দেবেন। বিশেষত, রাজ্য কংগ্রেসের এক শ্রেণির নেতাদের কট্টর মমতা-বিরোধিতার প্রেক্ষিতে। কিন্তু স্বয়ং মমতা শহিদের আত্মদানকে ‘স্মরণীয়’ করতে উন্নয়নমূলক কাজের কথা প্রচারকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। মমতা-অনুগামীদের বক্তব্য, উন্নয়নের কাজও আন্দোলনের অঙ্গ। সেই আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য বাংলাকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠা করা। গত এক বছরে নানা বাধা, আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে চললেও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার কী করেছে এবং আগামী দিনে কী করবে তা যেমন মমতা বলবেন, তেমনই জনমানসে দলের ‘ভাবমূর্তি’ উজ্জ্বল করতে নেতা-কর্মীদের কর্তব্য সম্পর্কে ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বার্তা দেবেন তিনি।
আগামী সপ্তাহে বীরভূমে ‘নানুর দিবস’ পালনেও সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কাজের সূচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই মতো প্রশাসনিক স্তরে আয়োজনও হচ্ছে। বীরভূমের সূচপুরে ২০০০-এর ২৭ জুলাই দলের আন্দোলনে প্রাণ দিতে হয়েছিল ১১ জনকে। তারপর থেকে সূচপুরের শহিদদের স্মরণে তৃণমূল ‘নানুর দিবস’ পালন করে। এ বার ‘নানুর দিবসে’র সমাবেশের সঙ্গে মমতা বীরভূম জেলায় সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্পের উদ্বোধনের কর্মসূচি জুড়তে চান। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও দলের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন, ওইদিন নানুরে প্রতিবারের মতো শহিদ বেদি বানিয়ে পুস্পস্তবক দিয়ে নিহত ১১জনের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বোলপুরে সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.