বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নিষেধ ছিল। তা সত্ত্বেও রবীন্দ্র ভবনে ঢুকতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে বাধা পেলেন প্রাক্তন প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্থিক অনিয়ম ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্তও চলছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নীলাঞ্জনবাবু গ্রন্থাগার ব্যবহারের আর্জি নিয়ে রবীন্দ্রভবনে ঢুকতে যান। আগেই একাধিক বার তাঁর এই আর্জি খারিজ করা হয়েছে। রবীন্দ্রভবন সূত্রের খবর, গত ৫ মার্চ তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। মার্চেই তাঁর গ্রন্থাগার ব্যবহারের মেয়াদ ফুরিয়েছে। তিনি যাতায়াত করলে নানা সামগ্রী খোয়া যেতে পারে এই আশঙ্কায় মে মাসে তাঁকে চিঠি দিয়ে রবীন্দ্রভবনে ঢুকতে নিষেধ করেন কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র। তা সত্ত্বেও এ দিন তিনি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁকে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি নেই।
এর পরেই শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে কর্মসচিব ও নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে ডায়েরি করেন নীলাঞ্জনবাবু। রবীন্দ্রভবনে ঢুকতে গেলেন কেন? নীলাঞ্জনবাবুর ব্যাখ্যা, “সম্প্রতি একটি গবেষণার প্রয়োজনে রবীন্দ্রভবনের গ্রন্থাগার ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। এ দিন ফের চিঠি দিতে গিয়েছিলাম।” বিশ্বভারতীর কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নিরাপত্তা আধিকারিক তদন্ত কেন্দ্রে নিষেধাজ্ঞার নথি জমা দিয়ে এসেছেন। |