গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে মিটার খারাপ। এর ফলে বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারের কাঁটা ঘুরতে থাকে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, এই অবস্থার জন্য প্রত্যেক গ্রাহক আলাদা করে বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত ভাবে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তা সত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ও রামপুরহাট ১ ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্বে রামপুরহাট ডাকবাংলো পাড়ায় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান রামপুরহাটের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। পাশাপাশি তাঁদের তরফ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
গ্রামবাসী তথা সংশ্লিষ্ট দখলবাটি পঞ্চায়েতের সদস্য ইদেল চাঁদের অভিযোগ, “গ্রামের ডাঙাপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঝুলে পড়ে আছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিদ্যুৎকর্মীদের একাধিকবার বলা হলেও তাঁরা গ্রামে আসেননি। এ ছাড়া, গ্রামের প্রায় ৭৫টি বৈদ্যুতিক মিটার খারাপ। সেগুলিও বদলানোর ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হচ্ছে।” বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, “বিপিএল তালিকাভুক্ত গ্রাহকদের কাছে বেশি অঙ্কের বিল আসছে। বিল সংশোধন করার জন্য বলা হলেও কাজ হয়নি।” কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মনি, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের দাবি, “যে ট্রান্সফর্মার আছে সেটিও চাপ নিতে পারে না। ট্রান্সফর্মার বদলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া, রামপুরহাটের শ্রীফলায় সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত লো-ভোল্টেজ থাকে।” পরিষেবা কেন্দ্রের সহকারি বাস্তুকারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক রক্তিম গুপ্ত বলেন, “ডাঙাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন তার ছিঁড়ে রয়েছে বলে জানা ছিল না। কর্মীদের পাঠিয়ে তা মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “খারাপ মিটারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। কিন্তু গরমের জন্য কর্মীরা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারেনি। খুব শীঘ্রই ওই গ্রামে কর্মী পাঠানো হবে। পদ্ধতি মেনে ট্রান্সফর্মার বদলের কাজ চলছে।” বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিক। |